তালতলায় পানি, করোনায় মৃতদের দাফন রায়েরবাজারে
করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৫ মার্চ শরীয়তপুরের আবদুল হাই মালেক (৬৫) রাজধানীর কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে মারা যান। এরপর নিয়ম অনুযায়ী তাঁকে রাজধানীর খিলগাঁওয়ের তালতলা কবরস্থানে দাফন করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তার পর থেকে গত ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত একে একে মোট ১৯৪টি লাশ দাফন করা হয় সেখানে।
১৯৪টি লাশের মধ্যে ১৪৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। আর বাকি ৫১ জনকে করোনা সন্দেহে দাফন করা হয়েছে। এখন তালতলা কবরস্থানে পানি উঠে যাওয়ায় সেখানে আর লাশ দাফন করা সম্ভব হচ্ছে না। এখন থেকে লাশ দাফন করা হবে রাজধানীর রায়েরবাজার কবরস্থানে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান সমাজকল্যাণ কর্মকর্তা তাজিনা সারোয়ার এনটিভি অনলাইনকে বলছিলেন, ‘গত বুধবারই তালতলা কবরস্থানে করোনায় মারা যাওয়া শেষ লাশ দাফন করা হয়েছে। সেখানে করোনা সন্দেহে দাফন করা ৫১টি লাশের রিপোর্টে করোনা পজিটিভ না নেগেটিভ এসেছিল, তা আমরা জানতে পারিনি। এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে রায়েরবাজার কবরস্থানে লাশ দাফন করা শুরু করেছি আমরা। গতকালই ওই কবরস্থানে মোট আটজনকে দাফন করা হয়েছে।’
তাজিনা সারোয়ার বলেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম আরো ৩০০ থেকে ৪০০ লাশ দাফন করব তালতলা কবরস্থানে। কিন্তু আর পারলাম না। কবরস্থানে পানি উঠে গেছে। এখন আর দাফন করার কোনো সুযোগ নেই। সে জন্য আপাতত সিদ্ধান্ত নিয়েছি রায়েরবাজার কবরস্থানে লাশ দাফন করা হবে। আবার যদি পানি ওঠা বন্ধ হয়, তাহলে হয়তো তালতলা কবরস্থানে কিছু লাশ দাফন করা হতে পারে।’
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান সমাজকল্যাণ কর্মকর্তা আরো বলেন, ‘রায়েরবাজার কবরস্থানে অনেক লাশ দাফন করা যাবে। কবরস্থানটিতে এক লাখ ২৫ হাজার লাশ দাফন করার সক্ষমতা আছে। কবরস্থানের ভেতরে মোট ১৬টি ব্লক আছে। আমরা গেট দিয়ে ঢুকতেই ৮ নম্বর ব্লক থেকে দাফন করা করা শুরু করেছি। করোনার শুরু থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ঢাকায় করোনা সংক্রান্ত মোট ২০৬টি লাশ দাফন করা হয়েছে। এর ভেতরে তালতলা কবরস্থানে ১৯৪টি লাশ। আজিমপুর কবরস্থানে দুটি, মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দুটি এবং রায়েরবাজার কবরস্থানে আটটি।’