দিনাজপুরের কিছু এলাকা নীরব জোন করা হবে : যুগ্ম সচিব
দিনাজপুরে অবিলম্বে কিছু এলাকা নীরব জোন করা হবে এবং নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পরিবেশ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (যুগ্ম সচিব) মো. হুমায়ুন কবীর। আজ বুধবার দিনাজপুর শিশু একাডেমি মিলনায়তনে শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
পরিবেশ অধিদপ্তরের আয়োজনে সাংবাদিক, পরবিহণচালক ও শ্রমিকরা এই শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণে অংশ নেন।
পরিবেশ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক বলেন, শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা ২০০৬ অনুসারে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণের লক্ষে আবাসিক, বাণিজ্যিক, শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও নীরব এলাকায় শব্দের সর্বোচ্চ মানমাত্রা অতিক্রম নিষিদ্ধ এবং দণ্ডনীয় অপরাধ। শুধু আইন প্রয়োগ করে সাধারণ মানুষকে সচেতন করা যাবে না। এর জন্য চাই সবার সহযোগিতা এবং সামাজিক আন্দোলন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. শরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেন পরিবেশ অধিদপ্তরের রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. মিজানুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন দিনাজপুর জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জয়নুল আবেদীন, সিভিল সার্জন ডা. মো. আব্দুল কুদ্দুছ, এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজের নাক-কান-গলা (ইএনটি) বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. মমিনুল হক।
শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক খন্দকার মাহমুদ পাশা। সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন দিনাজপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের সিনিয়র কেমিস্ট এ কে এম সামিউল আলম কুরসি। প্রধান অতিথি মো. হুমায়ুন কবীর আরও বলেন, শব্দ দূষণের ফলে শ্রবণশক্তি হ্রাস ও স্থায়ীভাবে নষ্ট হয়। উচ্চ রক্তচাপ ও ফুসফুসজনিত জটিলতা দেখা দেয়। ক্ষুধামান্দ্য ও মানসিক চাপসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি হয়। হৃদরোগসহ মস্তিষ্ক বিকৃতি ঘটে। অনিদ্রা ও স্মরণশক্তি হ্রাস পায়। শব্দদূষণজনিত অপরাধের জন্য শাস্তি হলো- প্রথম বার অনধিক এক মাস কারাদণ্ড বা অনধিক পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড। পরবর্তী অপরাধের জন্য অনধিক ছয় মাস কারাদণ্ড বা অনধিক ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ড।
মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন চালক ও শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য মো. আলমগীর হোসেন, মো. জামাল, মো. আমজাদ, মাহবুব আলম এবং সাংবাদিকদের পক্ষে বক্তব্য দেন সালাউদ্দিন আহমেদ, মোর্শেদুর রহমান, বিপুল সানি, রতন সিং, রুস্তম আলী মণ্ডল, আব্দুল কুদ্দুস ও ফারুক হোসেন।