দুই প্রেমিকাকে একসঙ্গে বিয়ে করে আলোচনায় পঞ্চগড়ের যুবক
পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার বলরামপুর ইউনিয়নে দুই প্রেমিকাকে বিয়ে করে আলোচনায় এসেছেন রোহিনী চন্দ্র বর্মণ (২৫) নামের এক যুবক। রোহিনীর বাড়ি ওই ইউনিয়নের লক্ষীদ্বার গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের যামিনী চন্দ্র রায়ের ছেলে। দুই প্রেমিকাকে বিয়ে করে ঘরেও তুলেছেন।
এক সঙ্গে দুই প্রেমিকাকে বিয়ে এবং ঘরে তোলার বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। গত বুধবার (২০ এপ্রিল) রোহিনী চন্দ্র বর্মণ তার দুই প্রেমিকা ইতি রাণী (২০) ও মমতা রাণীকে (২১) বিয়ে করেন।
জানা গেছে, ইতি রাণী একই ইউনিয়নের গাঠিশাপাড়া এলাকার গিরিশ চন্দ্রের মেয়ে এবং মমতা রাণী একই ইউনিয়নের উত্তর লক্ষীদ্বার এলাকার টনোকিশোর রায়ের মেয়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বলরামপুর ইউনিয়নের গাঠিয়াপাড়া এলাকার গিরিশ চন্দ্রের মেয়ে ইতি রাণীর সঙ্গে রোহিনীর দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল৷ পরে কয়েক মাসে আগে তারা দুজনে মন্দির গিয়ে গোপনে বিয়ে করেন এবং বিয়ের কথা তারা দুজনে গোপন রাখেন। এদিকে রোহিনী নতুন করে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন লক্ষ্মীদ্বার এলাকার টোনোকিশোর রায়ের মেয়ে মমতা রাণীর সঙ্গে। প্রেমের সূত্রে মমতার সঙ্গে গত ১২ এপ্রিল রাতে দেখা করতে যান রোহিনী৷ পরে রোহিনীকে আটক করে রাখেন মমতার বাড়ির লোকজন এবং পরদিন (১৩ এপ্রিল) মমতার বাড়ির লোকজন রোহিনী ও মমতাকে বিয়ে দেন। এদিকে রোহিনীর বিয়ের খবর শুনে বুধবার সকালে রোহিনীর বাড়িতে অনশন শুরু করেন ইতি রাণী৷ পরে রাতে তিন পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে পুনরায় আনুষ্ঠানিকভাবে ইতি ও মমতার সাথে রোহিনীর একসঙ্গে বিয়ে সম্পন্ন হয়। দুই বউকে এক সঙ্গে ঘরে তোলেন রোহিনী৷
বলরামপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা আবু তৌহিদ বলেন, ‘একসঙ্গে দুই প্রেমিকাকে বিয়ের বিষয়টি আমরা ফেসবুকে জানতে পেরেছি।’
এ বিষয়ে রোহিনী বর্মণের সঙ্গে কথা বলতে তার মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলে তিনি তা কেটে দেন।
বলরামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘এক যুবক দুই মেয়েকে বিয়ে করেছে এমন খবর শুনেছি। তবে এর আগে আমাকে মৌখিকভাবে তাদের অভিভাবকেরা বিষয়টি জানালে আমি প্রশাসনকে জানিয়েছিলাম। কিন্তু পরে শুনলাম ওই যুবক দুজনকেই বিয়ে করে ঘরে তুলেছেন।’