দুই মেয়র পদপ্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে আহত ১১
কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলায় নির্বাচনী প্রচারণার সময় দুই মেয়র পদপ্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১১ জন আহত হয়েছে। আজ সোমবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড ছায়কোট এলাকায় এ সংঘর্ষ ঘটে।
আহতরা হলেন নৌকা প্রতীকের সমর্থক ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ছায়কোট এলাকার আবুল কালাম (৪০), একই এলাকার নুরুল ইসলাম (৩৮), আল-আমিন (৩০), মাহাবুব (৩০), আলী হোসেন (৪৫), আবুল হাসেম (৩২), শহীদুল ইসলাম (২৫) এবং জগ প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক হারং এলাকার শরীফুল ইসলাম (২০), রাসেদুল ইসলাম (২৮), মো. সোহান (১৬), শামীম সরকার (৪০)। এদের মধ্যে দুজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজ সোমবার সকাল থেকে স্বতন্ত্র মেয়র পদপ্রার্থী শামীম হোসেন কর্মী সমর্থকদের নিয়ে ৭ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় প্রচারণায় যান। আজ বেলা সোয়া ১১টার দিকে নৌকা সমর্থিত স্থানীয় কিছু লোকজন স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রচারণা নিয়ে উস্কানিমূলক কথাবার্তা বলে। এ সময় দুপক্ষের লোকজনের মধ্যে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বেধে যায়। প্রথম দফার সংঘর্ষের পর উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুস ছালাম অভিযোগ করেন, ‘স্বতন্ত্র মেয়র পদপ্রার্থী শামীম হোসেন প্রতিদিন দলবল নিয়ে প্রচারণার নামে মাঠে আতংক সৃষ্টি করে আসছেন। আজ আমার ওয়ার্ডে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্র ও বহিরাগত লোকজনসহ গাড়িবহর নিয়ে আমাদের লোকজনের ওপর হামলা করেন। আমার ভাই কালাম রিকশায় চান্দিনা যাওয়ার সময় তাঁর ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।’
অপরদিকে, স্বতন্ত্র মেয়র পদপ্রার্থী শামীম হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ‘আমি গণসংযোগ করতে ছায়কোট এলাকায় পৌঁছলে ছালাম কাউন্সিলের নেতৃত্বে নৌকার লোকজন আমার নেতাকর্মীর ওপর হামলা চালায়। এ সময় আমাকেও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়। এতে আমার ছয় জন নেতাকর্মী আহত হয়।’
আওয়ামী লীগ মেয়র পদপ্রার্থী শওকত হোসেন ভূইয়া জানান, স্বতন্ত্র মেয়র পদপ্রার্থী শামীম হোসেন প্রতিদিন গাড়িবহর নিয়ে গণসংযোগের নামে এলাকায় আতংক সৃষ্টি করছেন। আর যেখানেই নৌকা সমর্থিত লোকজন পাচ্ছেন তাদের মারধর করছেন।
চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসউদ্দীন মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, ‘মূলত মেয়র পদপ্রার্থীরা যেখানে গণসংযোগে যাবেন তার একটি তালিকা আগেই থানায় দেওয়া কথা। কিন্তু তারা সেটা করেন না। আজ দুগ্রুপের সংঘর্ষের খবর পাওয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ পর্যন্ত কেউ লিখিত কোনো অভিযোগ করেনি।’