করোনাভাইরাসজনিত কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরো দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে ১৭০ জনের মৃত্যু হলো। দুই সপ্তাহের পর গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে কম মৃত্যু হয়েছে।

তবে আক্রান্তের সংখ্যা গতকাল থেকে বেড়েছে। গতকাল দেশে ৫৬৪ জনের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া যায় বলে জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আজ নতুন করে আরো ৫৭১ জনের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া যায়। এ নিয়ে মোট আট হাজার ২৩১ জন করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে।

আজ শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত নিয়মিত বুলেটিনে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এ তথ্য জানান।

সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, দুই সপ্তাহ পর দেশে সবচেয়ে কম মৃত্যু হয়েছে আজ।

গত ১৭ এপ্রিল দেশে সর্বাধিক মৃত্যু হয়। ওই দিন করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১৪ জনের মৃত্যু হয়। এর পর ১৮ এপ্রিল নয়জন, ১৯ এপ্রিল সাতজন, ২০ এপ্রিল ১০ জন, ২১ এপ্রিল নয়জন, ২২ এপ্রিল ১০ জন, ২৩ এপ্রিল সাতজন, ২৪ এপ্রিল চারজন, ২৫ এপ্রিল নয়জন, ২৬ এপ্রিল পাঁচজন, ২৭ এপ্রিল সাতজন, ২৮ এপ্রিল তিনজন, ২৯ এপ্রিল আটজন, ৩০ এপ্রিল পাঁচজন ও আজ ১ মে দুজন মৃত্যুবরণ করেছেন। আজ মৃত্যুবরণকারী দুজনের মধ্যে একজন পুরুষ ও একজন নারী। এর মধ্যে একজনের বয়স ৬০ বয়সের বেশি ও আরেকজনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে। এ ছাড়া একজন ঢাকার ও আরেকজন ঢাকার বাইরে অন্য জেলায়। 

এদিকে, আজ অনলাইন বুলেটিনে অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা আরো জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১৪ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এ পর্যন্ত ১৭৪ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেলেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩১টি ল্যাবে করোনাভাইরাসের পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় পাঁচ হাজার ৯৫৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। যা গত দিনের থেকে ৫ দশমিক শূন্য ৯ ভাগ বেশি এবং পাঁচ হাজার ৫৭৩ জনের পরীক্ষা করা হয়েছে। যা গত দিনের থেকে ১২ দশমিক শূন্য ২ ভাগ বেশি। এর মধ্য থেকে ৫৭১ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।

গত ৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসে প্রথম রোগী শনাক্ত করা হয়। এদিকে বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই লাখ ৩৪ হাজার ৭৫ জনে। এ ছাড়া আক্রান্ত হয়েছে ৩৩ লাখ সাত হাজার ৬৯১ জন। বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের সর্বশেষ পরিসংখ্যান জানার অন্যতম ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার এ তথ্য জানিয়েছে।

ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী,করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়েছে ১০ লাখ ৩৯ হাজার ১৮২ জন। চিকিৎসাধীন রয়েছে ২০ লাখ ৩৪ হাজার ৭৫৪ জন এবং ৫০ হাজার ৯৪৪ জন আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে।

গত বছরের ডিসেম্বরে চীন থেকে উৎপত্তি হওয়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২১০টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।