দেশব্যাপী স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন
সারা দেশে যথাযোগ্য মর্যাদায় স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতীয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে। সেইসঙ্গে দিবসটি দিনব্যাপী নানা কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে পালন করে দেশের সরকারি, বেসরকারি, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন।
আমাদের জেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের সংবাদ।
মাহবুব হোসেন সারমাত, গোপালগঞ্জ : মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন, কুচকাওয়াজ ও পতাকা শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল ৭টায় বধ্যভূমির স্মৃতিস্তম্ভে প্রথমে জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা ও পুলিশ সুপার আয়েশা সিদ্দিকা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এরপর জেলা আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন শ্রদ্ধা জানায়। পরে শেখ কামাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা প্রধান অতিধি হিসেবে উপস্থিত থেকে পুলিশ, আনসার, কারা পুলিশ, রোভার স্কাউটসহ বিভিন্ন সংগঠনের সালাম গ্রহণ করেন।
এছাড়া, উদীচী জেলা সংসদের পক্ষ থেকে পৌর পার্কে শহীদ মিনার চত্বর থেকে একটি লাল-সবুজের পতাকা শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রা জেলা শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
নাসির আহমেদ, গাজীপুর : জেলায় যথাযোগ্য মর্যাদায় স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালিত হচ্ছে। সকালে কেন্দ্রীয় স্বাধীনতা স্মৃতিস্তম্ভে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ জড়ো হয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়। জেলা প্রশাসক এসএম তরিকুল ইসলামের নেতৃত্বে জেলা প্রশাসন, জিএমপি, জেলা পুলিশ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। সকাল ৮টার দিকে শহীদ বরকত স্টেডিয়ামে এ দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠিত কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান উদ্বোধন করা হয় ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে। পরে বেলুন ও শান্তির প্রতীক পায়রা ওড়ানো হয়। সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও স্কাউট গাইড অংশ নেয়।
রফিকুল ইসলাম, চুয়াডাঙ্গা : মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে সকালে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের শুভ সুচনা করা হয়। জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন। শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার, পুলিশ সুপার মো. জাহিদুল ইসলাম ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠনগুলো। সকাল ৮টার দিকে পুরাতন স্টেডিয়াম মাঠে জেলা প্রশাসক জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন। এ সময় পুলিশ, আনসার ও ভিডিপি, বিএনসিসি, গার্লস গাইড, রোভার স্কাউটসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীদের সমাবেশ ও কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করে সালাম গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসক।
সাইফুল ইসলাম সজল, যশোর : জেলায় বিজয় স্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদনসহ নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে মহান স্বাধীনতা দিবস। আজ ভোর ৬টা ১ মিনিটে শহরের মনিহার বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন বিজয়স্তম্ভে ফুল দেন জেলা প্রশাসক মো. তমিজুল ইসলাম খান। এরপর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ সালাউদ্দিন শিকদার, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান পিকুল, সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন, মুক্তিযোদ্ধারাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এরপর সকাল ৮টার দিকে যশোর শামস উল হুদা স্টেডিয়ামে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। এ বছর করোনার কারণে কুচকাওয়াজে কেবল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, জেলা কেন্দ্রীয় কারাগার ও বিএনসিসির কর্মীরা অংশ নেন। এ সময় সালাম গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসক মো. তমিজুল ইসলাম খান এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ সালাউদ্দিন শিকদার।
এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন স্থানে আলোচনা সভা এবং কারাগার, সরকারি শিশুপল্লী ও হাসপাতালে অবস্থানরতদের বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করা হয়।
কে এম সবুজ, ঝালকাঠি : মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে সকালে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে বীর শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষ।
পরে সকাল ৮টার দিকে স্থানীয় সার্কিট হাউস চত্বরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং কুচকাওয়াজে সালাম গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী ও পুলিশ সুপার ফাতিহা ইয়াসমিন। এ সময় পুলিশ, আনসার ও ভিডিপি, জেল পুলিশ, গার্লস ইন স্কাউটস সদস্যরা কুচকাওয়াজে অংশ গ্রহণ করেন।
এছাড়া দিনব্যাপী যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি উদযাপনের লক্ষে জেলা প্রশাসন বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। তবে করোনাভাইরাসের প্রভাবের কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে করা হয়েছে সব আয়োজন।
আবুল কালাম আজাদ, লক্ষ্মীপুর : আজ সকাল ৬টা ১ মিনিটে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জেলা কালেক্টরেট ভবন প্রাঙ্গণে ৩১ বার তোপধ্বনি দেওয়া হয়। পরে মুক্তিযুদ্ধে স্মৃতিফলক ও গণকবরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে।
পর্যায়ক্রমে জেলা প্রশাসক আনোয়ার হোছাইন আকন্দ, জেলা পুলিশ সুপার ড. এইচএম কামরুজ্জামান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু ও সাধারণ সম্পাদক অ্যঅডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়নসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও শ্রেণি-পেশার মানুষ পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শহীদদের শ্রদ্ধা জানিয়েছে। এ সময় শহরের বাগবাড়ীস্থ গণকবরে শহীদদের রূহের মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে জেলা স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে পতাকা উত্তোলন শেষে বিভিন্ন সংগঠনের কুচকাওয়াজ ও শারীরিক কসরত প্রদর্শন করা হয়। জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে দিনব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ভজন দাস, নেত্রকোনা : আজ সূর্যোদয়ে সঙ্গে সঙ্গে নেত্রকোনা কালেক্টরেট ভবন প্রাঙ্গণে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিবসটির সূচনা হয়।
পরে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, সামাজিক সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিফলকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।
দিবসটি উপলক্ষে জেলা পাবলিক হল মিলনায়তনে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং সুবর্ণজয়ন্তীতে দেশের উন্নয়ন বিষয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এছাড়া জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি, দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি কামনা করে মসজিদ, মন্দির, গীর্জা, প্যাগোডা ও অন্য উপাসনালয়ে প্রার্থনা করা হয়।
আবু তাহের মুহাম্মদ, খাগড়াছড়ি : ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের সূচনা হয়। পরে জেলা শহরের মাইনী ভ্যালিস্থ মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন শরণার্থী পুনর্বাসন বিষয়ক টাস্কফোর্স চেয়ার্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু, জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস, পুলিশ সুপার মো. আব্দুল আজিজ, খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাব, খাগড়াছড়ি সাংবাদিক ইউনিয়ন, বিভিন্ন সরকারি দপ্তর, আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন।
বিভিন্ন সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত এবং বেসরকারি ভবনে জাতীয় পাতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে খাগড়াছড়ি স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পাতাকা উত্তোলন, জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, স্কাউট, রোভার, গালর্স গাইড ও ছাত্র ছাত্রীরা কুচকাওয়াজ প্রদর্শন করে। ১০টার দিকে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। বিকেলে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ, সন্ধ্যায় আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
কাকন রেজা, শেরপুর : নানা কর্মসূচিতে শেরপুরে পালিত হয়েছে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ, আলোচনা সভাসহ নানা অনুষ্ঠান।
ভোরে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে প্রথম পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জাতীয় সংসদের হুইপ আতিউর রহমান আতিক। এরপর জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ফুল দেন জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব, পুলিশ সুপার হাসান নাহিদ চৌধুরী। এর আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এরপর অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা।
এদিকে, আওয়ামী লীগের তরফ থেকে জেলা শহরের চকবাজারস্থ কার্যালয়ে দলীয় ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন দলের জেলা সভাপতি হুইপ আতিউর রহমান আতিক ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পাল।
সঞ্জিব দাস, ফরিদপুর : জেলায় নানা কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত হয়েছে। দিনটি উপলক্ষে আজ সকাল পৌনে ৭টার দিকে গোয়ালচামট শহীদ স্মৃতিফলকে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক অতুল সরকার, পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন, বিএনপি ও সহযোগী সংগঠন, মুক্তিযোদ্ধা ও বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা। পরে গোয়ালচামট স্মৃতিস্তম্ভ থেকে একটি স্বাধীনতা শোভাযাত্রা বের হয়। সকাল সাড়ে ৭টার দিকে কোর্ট কম্পাউন্ডের স্বাধীনতা চত্বরে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে নিহত শহীদদের প্রতীকী গণকবর জিয়ারত ও শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়।
এর আগে সূর্যোদয়ের প্রাক্কালে পুলিশ লাইনস এ ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের সূচনা হয়। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সকল সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্বশাসিত, ব্যক্তি মালিকানাধীন ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
এদিকে, বেলা ১১টার দিকে কবি জসীম উদ্দীন হলে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারবর্গের সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
এছাড়া জেলার সব মসজিদ, মন্দির, গীর্জা, প্যাগোডা ও অন্যান্য উপাসনালয়ে জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি, দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি কামনা এবং মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের আত্মার শান্তি কামনায় বিশেষ দোয়া ও বিশেষ প্রার্থনা করা হয়েছে।
বিশ্বজিৎ সাহা, নরসিংদী : জেলার মোসলেহ উদ্দিন ভূইয়া স্টেডিয়ামে তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের শুভ সূচনা করা হয়। আজ সকালে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিফলকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মুসলেহ উদ্দিন ভূইয়া স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসক কর্তৃক আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং প্যারেড ও কুচকাওয়াজে সালাম গ্রহণসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়। এছাড়া জেলার সব উপজেলায় দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে মহান স্বাধীনতা দিবসটি পালন করা হবে।
শিহাব উদ্দিন বিপু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : জেলায় যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে সকালে স্থানীয় ফারুকী পার্কে তোপধ্বনীর মধ্যে দিয়ে কর্মসূচির শুরু হয়। এ সময় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য র. আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খান, পুলিশ সুপার মো. আনিসুর রহমান, পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবির, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার। পরে পুলিশ কর্তৃক গার্ড অব অর্নার শেষে জেলা আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব, ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন এবং বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ও নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করে। এছাড়া দিনটি পালনে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নানা কর্মসূচি উদযাপন করা হয়েছে।
হালিম খান, নাটোর : বর্ণাঢ্য আয়োজনে জেলায় পালিত হয়েছে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। সকালে বাগাতিপাড়া স্মৃতিসৌধ ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুল। এছাড়া শহরের স্বাধীনতা চত্বরে কেন্দ্রীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ রাজনৈতিক নেতারাসহ সর্বস্তরের মানুষ।
এম. মুনীর চৌধুরী, নড়াইল : জেলায় মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতীয় দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে আজ সকালে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের শুভ সূচনা করা হয়। পরে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন শেষে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ, গণকবর, বধ্যভূমি, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের বঙ্গবন্ধু ও চেতনা চত্বর এবং বঙ্গবন্ধুর মুর্যালে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, আওয়ামী লীগ, জেলা বিএনপি, নড়াইল পৌরসভা, নড়াইল প্রেসক্লাব, জেলা আইনজীবী সমিতিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সরকারি, বেসরকারি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও করা হয়।
এ সময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন বিশ্বাস, পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার রায়, সিভিল সার্জন ডা. নাছিমা আক্তার, পৌর মেয়র আঞ্জুমান আরা, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস, নড়াইল প্রেসক্লাবের সভাপতি এনামুল কবীর টুকু, সাধারণ সম্পাদক মো. শামীমুল ইসলাম টুলুসহ বীর মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক নেতারা, সাংবাদিক ও সরকারি কর্মকর্তারাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিল।
রশিদ আল মুনান, পিরোজপুর : জেলায় যথাযোগ্য মর্যাদায় পিরোজপুরে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত হয়েছে। আজ সকালে শহরের কৃষ্ণচুড়া ভাগীরথী চত্বরে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিবসটির উদ্বোধন করা হয়। পরে স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন জেলা প্রশাসক আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন, পুলিশ সুপার হায়াতুল ইসলাম খান, মেয়র, জেলা পরিষদ, জেলা আওয়ামী লীগসহ স্থানীয় রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কর্মচারীরা। এরপর সকাল ৮টায় জেলা স্টেডিয়ামে কুচকাওয়াজ ও শরীরচর্চা অনুষ্ঠিত হয়। সন্ধ্যায় টাউন ক্লাব স্বাধীনতা মঞ্চে সন্ধ্যায় আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।
আইয়ুব আলী, ময়মনসিংহ : জেলায় পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে শহীদদের শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে। নগরীর পাটগুদামের কেন্দ্রীয় মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধে প্রথম শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সংসদ সদস্য মনিরা সুলতানা মনি। পরে একে একে বিভাগীয় কমিশনার কামরুল হাসান, রেঞ্জ ডিআইজি ব্যারিস্টার হারুন-অর-রশিদ, জেলা প্রশাসক এনামুল হক, পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামান, মুক্তিযোদ্ধারা এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারাসহ সর্বস্তরের মানুষ ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করে।
রেজ-আন-উল বাসার, মেহেরপুর : জেলায় বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত হচ্ছে। প্রত্যুষে জেলা প্রশাসকের কার্ষালয় চত্বরে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্যে দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। আজ শুক্রবার সকাল ৬টা ৪ মিনিটের শহরের কলেজ মোড়ে অবস্থিত শহীদ মিনারে জেলা প্রশাসক ড. মুনসুর আলম খান, পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলী শহীদ মিনারে পূষ্পমাল্য অর্পণ করেন। এরপর বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠন ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শহীদ বেদীতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। এরপর সকাল ৮টায় স্টেডিয়াম মাঠে কুচকাউয়াজ অনুষ্ঠিত হয়।
সুভাষ চৌধুরী, সাতক্ষীরা : নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সাতক্ষীরায় পালিত হয়েছে মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। সকালে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং সাতক্ষীরা স্টেডিয়ামে আয়োজন করা হয় কুচকাওয়াজের। এছাড়া বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা জ্ঞাপন এবং আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয় আনন্দ মিছিল। সন্ধ্যায় শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়। এসব কর্মসূচিতে অংশ নেন সাতক্ষীরা সদর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল, পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমানসহ রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতরা।