আগামীকাল সোমবার উদ্বোধন হতে যাচ্ছে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার মধুমতি নদীর উপর নির্মিত দেশের প্রথম  ছয় লেনের মধুমতি সেতু। ভার্চুয়াল মাধ্যমে এ সেতুর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ইতিমধ্যে এ সেতু নির্মাণের সব কাজ শেষ হয়েছে। যানবাহন চলাচলের জন্য এ সেতু খুলে দেয়ায় দীর্ঘ দিনের ভোগান্তি থেকে রক্ষাসহ এলাকার মানুষের আর্থসামাজিক খাতে ব্যাপক উন্নয়ন ঘটবে বলে আশা করা হচ্ছে।

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার মধুমতি নদীপথে যাতায়াতকারীদের ভোগান্তি ছিল দীর্ঘ দিনের। ফেরিঘাটের ভোগান্তি কমাতে ও  যোগাযোগ সহজতর করতে মধুমতি নদীর কালনা পয়েন্টে ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি ছয় লেনের মধুমতি সেতুর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এরপর ২০১৮ সালে মূলত শুরু হয় সেতুর নির্মাণ কাজ। নির্মাণ কাজ শুরুর দীর্ঘ পাঁচ বছর পর উদ্বোধন হতে যাচ্ছে সেতুটি। কালনা  সেতুর নামকরণ করা হয়েছে ‘মধুমতি সেতু’। ৯৬০ কোটি টাকায় নির্মিত এই সেতুটি আগামীকাল সোমবার ভার্চুয়াল মাধ্যমে গণভবন থেকে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সেতুটি চলাচলের জন্য খুলে দেয়ায় দীর্ঘ ভোগান্তির অবসান হতে যাচ্ছে চলাচলকারীদের। ফলে সহজেই দ্রুত সময়ে নড়াইল, যশোরসহ দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের মানুষ ভোগান্তি ছাড়াই রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করতে পারবে। ফলে দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের অন্তত ১৩টি জেলার মানুষের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ কমে আসবে। যাতায়াতের জন্য দীর্ঘ সময় ফেরিঘাটে অপেক্ষা করতে হতো যাতায়াতকারীদের এবং অতিরিক্ত টাকাও গুনতে হতো তাদের।

ছয় লেনের এ সেতুর মাঝখানের চার লেন দিয়ে দ্রুত গতির গাড়ি এবং পাশের দুই লেন দিয়ে ধীর গতির গাড়ি চলবে। এশিয়ান হাইওয়েতে যুক্ত হওয়ায় বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে সহজেই পণ্য আমদানি ও রপ্তানি করা যাবে। এতে বাড়বে আর্ন্তজাতিক বাণিজ্যের প্রসার। এছাড়া নড়াইল, যশোরসহ বিভিন্ন জেলার স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত কৃষিপণ্য সহজেই বাজারজাত করাতে সুফল পাবে এ অঞ্চলের কৃষক।