দেশে ফেরেননি ডা. মুরাদ
সব প্রস্তুতি নিয়ে রাখলেও সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) দুবাই থেকে ঢাকায় ফেরেননি সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। আজ রোববার সকালে এমিরেটস এয়ারলাইন্সে ঢাকায় ফেরার টিকেট কাটা ছিল তাঁর। তবে, শেষ পর্যন্ত তিনি নির্ধারিত ফ্লাইটে আসেননি দেশে। ডা. মুরাদের সঠিক অবস্থান নিয়ে তাই বেশ ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে।
নারীর প্রতি বিদ্বেষপূর্ণ, অশালীন ও অবমাননাকর বক্তব্যের জেরে দেশ ছেড়ে কানাডার উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছিলেন মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করা তথ্যপ্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। কিন্তু, করোনাকালীন কানাডা ভ্রমণের যথাযথ অনুমোদনের কাগজপত্র না থাকা এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতিবাদের কারণে দেশটিতে প্রবেশাধিকার পাননি ডা. মুরাদ।
পরে কানাডা থেকে দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান মুরাদ। জানা গেছে, দুবাই বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন বিভাগ ইউএই’র ভিসা না থাকায় ডা. মুরাদকে দেশে প্রবেশের অনুমতি দেয়নি।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যাচ্ছে, দুবাইয়ে বাংলাদেশি কনস্যুলেট খুললে সেখানে ভিসা তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করবেন মুরাদ।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে আজ রোববার ভোর ৭টা ৫৬ মিনিটে দুবাই থেকে আসা ইকে-৫৮২ ফ্লাইটে দেশে ফেরেননি তিনি।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নাতনি জাইমা রহমানকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করা এবং চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির সঙ্গে হুমকিমূলক ফোনালাপ ফাঁস হলে তীব্র সমালোচনায় পড়েন ডা. মুরাদ। পরে প্রতিমন্ত্রী ও জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের পদ হারান ডা. মুরাদ।