জোড় সালে উত্থান জোড় সালেই পতন ডা. মুরাদের
জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ী) আসন থেকে ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার টিকিটে জয়ের মাধ্যমে উত্থান হয় ডা. মুরাদ হাসানের। এক লাখ ২৬ হাজার ৪৩৩ ভোটের ব্যবধানে জয়ী এ সংসদ সদস্য ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও নৌকার টিকিটে জয়ী হয়ে পেয়েছিলেন মন্ত্রীত্ব। ২০২১ সালে নানা ঘটনায় আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেন সাবেক এই তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী। হারান মন্ত্রীত্ব এবং দলীয় পদ।
এরপর ২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় টিকিট পেতে চেষ্টা করেন ডা. মুরাদ। দলীয় প্রতীক না মেলায় স্বতন্ত্রভাবে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে ভাগ্যে জুটেছিল ঈগল প্রতীক। কিন্তু নৌকা ও ট্রাক প্রতীকের দৌড়ে ছিটকে পড়েছে মুরাদের ঈগল।
২০০৮ সালে উত্থানের পর কাকতালীয়ভাবে আরেক জোড় সাল ২০২৪ এ পতন ঘটলো আলোচিত-সমালোচিত ডা. মুরাদ হাসানের।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামালপুর-৪ আসনে ডা. মুরাদ হাসানের ঈগল এবং আওয়ামী লীগের নৌকার মাহবুবুর রহমানকে পেছনে ফেলে জয় পেয়েছেন ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্রপ্রার্থী আব্দুর রশীদ। আব্দুর রশীদ ৫০ হাজার ৬৭৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।
আব্দুর রশীদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মাহবুবুর রহমান নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৪৭ হাজার ৬৩৮ ভোট আর ডা. মুরাদ হাসান ঈগল প্রতীকে পেয়েছেন ৩৭ হাজার ৪৩৩ ভোট। ৮৯টি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ শেষে ঘোষিত ফলে আব্দুর রশীদের জয় নিশ্চিত হয়।
নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, এ আসনটি আটটি ইউনিয়ন এবং একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত। এখানে মোট ভোটার দুই লাখ ৮৯ হাজার ২৬১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার সংখ্যা এক লাখ ৪৩ হাজার ৮৭৩, নারী ভোটার সংখ্যা এক লাখ ৪৫ হাজার ৩৮৭ এবং একজন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছে।
এদিকে পূর্বে হারানো দলীয় পদ এবং সর্বশেষ সংসদ সদস্যের পদ দুই মিলিয়ে জনসাধারণের নিকট মুরাদের পতন বলেই নির্বাচনের মাঠে দেখা গেছে। ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিপুল গ্রহণযোগ্যতার মুরাদ হারিয়ে গেলো ২০২৪ সালের নির্বাচনে। এ যেনো জোড়া সালে উত্থান আবার জোড়া সালেই পতন।