দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে শিশু সন্তানকে হত্যা, বাবাসহ আটক ৩
কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার তীরচর গ্রামে আরাফাত নামে আট বছরের এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার দিবাগত রাত ২টার দিকে সৎ মা সুমীর গোয়ালঘর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত আরাফাতের গলায় ফাঁস ও মুখে আঘাতের দাগ রয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আরাফাতের বাবা তীরচর আতিকীয়া ইসলামিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার শিক্ষক মো. ফরিদ উদ্দিন, ফরিদের দ্বিতীয় স্ত্রী সুমী ও সুমির মা ডলি বেগমকে আটক করেছে চান্দিনা থানা পুলিশ। আরাফাত তীরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ত।
নিহতের মা ফেরদৌসি জানান, তাঁর স্বামী ফরিদ তাঁর অনুমতি ছাড়া পাশের বাড়ির সুমীকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। সুমীর আগের সংসারের আট বছরের এক ছেলে ও বর্তমান সংসারের সাত মাসের এক ছেলে সন্তান রয়েছে। অন্যদিকে তিন মেয়ের পর ফেরদৌসির একমাত্র ছেলে সন্তান ছিল আরাফাত।
ফেরদৌসির অভিযোগ, সম্পতির লোভে তাঁর একমাত্র ছেলে সন্তানকে হত্যা করেছে তারা। তিনি আরো জানান, রোববার দুপুর থেকে আরাফাতকে পাওয়া যাচ্ছিল না। মাইকিং করে এবং অনেক স্থানে খোঁজাখুঁজির পর রাতে সন্দেহ করে সৎমা সুমীর ঘর তল্লাশির পর রাত ৯টায় গোয়ালঘরে ঘাস ও পাতিল দিয়ে ঢাকা অবস্থায় তাঁর ছেলের লাশ পাওয়া যায়।
পরে স্থানীয় জনতা আরাফাতের বাবা ফরিদ উদ্দিন, সৎমা সুমী ও সৎ নানি ডলি বেগমকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। এ সময় ঘরে থাকা অন্যরা পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার ও তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল ফয়সল জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সৎমা সুমী ও ফরিদ মিলে আরাফাতকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।