দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষের মাঝে হাহাকার : জিএম কাদের
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি বলেছেন, দেশের মানুষকে বাঁচাতে ২ কোটি পরিবারকে রেশন কার্ড দিতে হবে। রমজানের শুরুতে দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতির কারণে দেশের মানুষের মাঝে হাহাকার উঠেছে।
আজ শনিবার বিকেলে জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় কার্যালয় কাকরাইল চত্বরে জাতীয় যুব সংহতির ৩৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আগে এক সমাবেশে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের একথা বলেন।
জিএম কাদের বলেন, আমরা সরকারকে বারবার বলেছি, দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতির কারণে দেশের মানুষ কষ্টে আছে। সরকার আমাদের কথা বিশ্বাস করে না। এর চেয়ে দুর্ভাগ্য আর হতে পারে না। সরকারি দলের নেতারা বলছেন, দ্রব্যমূল্য কমছে ও মানুষের আয় বেড়েছে। দ্রব্যমূল্য দেখতে বাজারে যেতে হবে না, টিসিবির একটি ট্রাকের কাছে লাইন দেখুন।
কাদের আরও বলেন, টিসিবির পণ্য শেষ হয়ে যায় কিন্তু মানুষের লাইন শেষ হয় না। অনেকে সারাদিন লাইনে দাঁড়িয়ে পণ্য না পেয়ে খালি হাতে ঘরে ফিরে যায়। সরকার মানুষের সাথে অবিচার করছে।
জাপা চেয়ারম্যান আরও বলেন, টিসিবি দিয়ে এই বাস্তবতা মোকাবিলায় করা সম্ভব হবে না। ৫ থেকে ৬ কোটি মানুষের জন্য রেশনিংয়ের ব্যবস্থা করা জরুরি হয়ে পড়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে ১ কোটি রেশন কার্ড দেওয়া হয়েছে। ১ কোটি মানুষ নাকি ১ কোটি পরিবারকে রেশন কার্ড দেওয়া হয়েছে তা পরিষ্কার নয়।
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের আরও বলেন, দেশের মানুষের জন্য সরকারের দরদ আছে বলে মনে হচ্ছে না। সরকার কাজ করছে তাদের দল ও নেতাকর্মীদের স্বার্থ রক্ষায়। এই অবস্থা চলতে থাকলে দেশে দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে। হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে অপ্রয়োজনীয় অনেক প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সরকার। অথচ অল্প কিছু টাকা ভর্তুকি দিয়ে রেশনিং ব্যবস্থা চালু করলে মানুষের কষ্ট দূর হবে। সরকার যদি মানুষের কষ্ট না বোঝে তাহলে ভয়াবহ পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে। গণমানুষের স্বার্থে আন্দোলন করতে হবে। গণমানুষের স্বার্থ রক্ষার আন্দোলনে জাতীয় পার্টি সব সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
জাতীয় যুব সংহতির আহ্বায়ক এইচএম শাহরিয়ার আসিফের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আহাদ ইউ চৌধুরী শাহিনের পরিচালনায় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান টেপা, মীর আবদুস সবুর আসুদ, অ্যাডভোকেট মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, আলমগীর সিকদার লোটন, জহিরুল ইসলাম জহির প্রমুখ।