ধর্ষণে জন্ম নেওয়া শিশুসহ মায়ের দায়িত্ব নিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় ধর্ষণের শিকার এক গৃহবধূ জন্ম দেন একটি ছেলে সন্তান। সেই শিশু ও মায়ের ভরণ পোষণের দায়িত্ব নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। এ সময় তিনি শিশুটিকে কোলে তুলে নিয়ে দোয়াও করেন। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ফাতেমা মাসুদ লতার বাড়িতে গিয়ে প্রতিমন্ত্রী ওই শিশু ও মায়ের প্রতি এ সহানুভূতি দেখান।
স্থানীয়রা জানায়, বাঘার ওই নারীর স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করে অন্যত্র চলে যান। এরপর তাঁকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ করেন প্রতিবেশী মুদি দোকানদার বাদশা আলম। একপর্যায়ে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। পরে বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর বাঘা থানায় একটি মামলা করেন ভুক্তভোগী নারী।
বিভিন্ন মিডিয়ায় সংবাদটি প্রকাশিত হয়। ফলে বিষয়টি চোখে পড়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের। তিনি অসহায় ওই নারীর পাশে দাঁড়ান। মেডিকেল চেকআপ থেকে শুরু করে শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়া এবং শিশুর লালন-পালনসহ সব ব্যয়ভার বহন করার প্রতিশ্রুতি দেন প্রতিমন্ত্রী।
২৫ দিন আগে ওই নারী একটি ছেলে শিশু জন্ম দেন। শিশুটির নাম রাখা হয়েছে রাসেল। সেই রাসেলকে গতকাল শুক্রবার রাতে কোলে নিয়ে দোয়া করেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। এরপর শিশুর মায়ের হাতে অর্থ তুলে দেন।
এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহিন রেজা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম মন্টু ও অধ্যক্ষ নছিম উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়াহেদ সাদিক কবির, আওয়ামী লীগ নেতা মাসুদ রানা তিলু, বাঘা পৌরসভার প্যানেল মেয়র শাহিনুর রহমান পিন্টুসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা।
বাঘা উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ফাতেমা মাসুদ লতা বলেন, ‘ভুক্তভোগী ওই নারীর খবরটি শোনার পর আমি সেখানে ছুটে যাই এবং থানায় মামলা দেওয়ার ব্যবস্থা করি। এরপর বিভিন্ন দৈনিকে সংবাদ প্রকাশ হয়। সেই সংবাদ পড়ে ব্যথিত হন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। তিনি তাৎক্ষণিক আমাকে ফোন করে ওই শিশুর দায়িত্ব নেওয়ার ঘোষণা দেন।’