ধর্ষণ মামলার আসামি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত
রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় স্কুলছাত্রী শ্যালিকাকে ধর্ষণ ও আত্মহত্যায় প্ররোচণা মামলার আসামি দুলাভাই এখলাস আলী র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার ভোরের দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত এখলাস আলী (২৮) পুঠিয়া উপজেলার গণ্ডগোহালী গ্রামের কাশেমের ছেলে।
পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল ইসলাম জানান, পুঠিয়া বাজারের বাসিন্দা সেলিম উদ্দীনের স্কুলপড়ুয়া মেয়ে ইভা খাতুন (১২)। গত ২৫ জানুয়ারি সে দুলাভাই এখলাসের বাড়ি বেড়াতে যায়। রাতে দুলাভাই এখলাস তাঁকে ধর্ষণ করেন। পরের দিন ইভা বাবার বাড়ি চলে যায়। এরপর ২ এপ্রিল বড় বোন শোভা বাবার বাড়িতে বেড়াতে এসে ইভাকে মন খারাপ করে থাকতে দেখেন। ইভা বোনকে সব খুলে বলে। শোভা তাঁর স্বামীর কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তাঁকে উল্টো তালাকের ভয় দেখান এখলাস।
বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে গ্রামে শালিশ বৈঠক হয়। এর দুদিন পর গত ৯ এপ্রিল ইভা গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন।
ওসি আরো জানান, এ ঘটনায় ইভার বাবা বাদী হয়ে জামাই এখলাসকে আসামি করে ধর্ষণ ও আত্মহত্যা প্ররোচনার অভিযোগে মামলা করেন।
এদিকে, র্যাব জানায়, ধর্ষণ মামলার আসামি এখলাস আলী মাদক ব্যবসায়ী ছিলেন। মাদকবিরোধী অভিযান চালাতে গিয়ে আজ ভোরে পুঠিয়ার পীরগাছা গ্রামে র্যাব তাঁকে আটক করার চেষ্টা করলে গুলি চালায় মাদক ব্যবসায়ীরা। এ সময় আত্মরক্ষার্থে র্যাবও পাল্টা গুলি চালালে এখলাস গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাঁকে পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে তাঁকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ সময় তাঁর কাছ থেকে একটি পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলি, একটি ওয়ান শ্যুটারগান ও ৪৮০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়।
এদিকে, এখলাসের মামা জিন্নাত আলী অভিযোগ করে জানান, তাঁর ভাগ্নে এখলাসকে র্যাব গত ৪ জুলাই ঢাকার ফতুল্লা থেকে আটক করে। এরপর পরিকল্পিতভাবে তাঁকে ক্রসফায়ার দিয়েছে। তিনি মাদক ব্যবসায়ী ছিলেন না। ঢাকায় রিকশা চালাতেন। তবে শ্যালিকাকে ধর্ষণ ও আত্মহত্যার মামলা ছিল তাঁর বিরুদ্ধে।