ধর্ষণ মামলায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে পঞ্চম দফায় সাক্ষ্যগ্রহণ
ধর্ষণ মামলায় হেফাজতে ইসলামের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের বিরুদ্ধে পঞ্চম দফায় সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। আজ রোববার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে এ সাক্ষ্য নেওয়া হয়। এসময় মামুনুল আদালতে উপস্থিত ছিলেন৷
আজ আদালতে মামুনুলের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি সোহাগ রনি ও সোনারগাঁওয়ের বাসিন্দা রতন মিয়া।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রকিব উদ্দিন জানান, সাক্ষীরা আদালতে বলেছেন, মামুনুল হক পুলিশের কাছে মামলার বাদীকে স্ত্রী পরিচয় দেয়। তবে, বাদী জানায়, সে তাঁর স্ত্রী নয়। তাঁকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেছে।
মামলায় ৪৩ জন সাক্ষীর মধ্যে এ পর্যন্ত ১২ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।
নারায়ণগঞ্জ আদালত পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান জানান, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কঠোর নিরাপত্তায় কাশিমপুর কারাগার থেকে মামুনুল হককে নারায়ণগঞ্জের আদালতে আনা হয়। সাক্ষ্য শেষে দুপুরে তাঁকে আবার কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এর আগে মামলার বাদী জান্নাত আরা ঝর্না, সোনারগাঁ রয়েলে রিসোর্টের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও নিরাপত্তাকর্মীসহ সোনারগাঁ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম ও ছাত্রলীগের নেতা সোহাগ রনি সাক্ষ্য দিয়েছেন।
গত বছরের ৩ এপ্রিল সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টের একটি কক্ষে নারীসহ স্থানীয়দের হাতে অবরুদ্ধ হন মামুনুল হক। সে সময় তিনি বিব্রতকর অবস্থায় পড়লে হেফাজতের স্থানীয় নেতাকর্মীরা তাঁকে উদ্ধার করতে এগিয়ে যায়। তখন আওয়ামী লীগের কার্যালয়, স্থানীয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বাড়িঘর ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে বেপরোয়া ভাঙচুর চালায় হেফাজতের নেতাকর্মীরা।
হামলা ও ভাঙচুর করা হয় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দুই শতাধিক যানবাহন। রয়েল রিসোর্ট কাণ্ডের ২৭ দিন পর ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁও থানায় হাজির হয়ে কথিত স্ত্রী নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন।
১০ সেপ্টেম্বর মামুনুল হকের বিরুদ্ধে করা অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। ৩ নভেম্বর মামুনুল হকের বিরুদ্ধে করা মামলায় অভিযোগ গঠন করেন আদালত।