ধূমপান করায় চাকরি গেল তিন শ্রমিকের
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2022/08/17/mongla-news-pic.jpg-1.jpg)
ধূমপান করার অভিযোগে তিন শ্রমিককে চাকরিচ্যুত করার অভিযোগ উঠেছে মোংলা ইপিজেডের জিম লাইট গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির অ্যাডমিন স্টেশন অফিসার হৃদয় মাহমুদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ বলছে, চাকরি থেকে বরখাস্তের আগে তাঁদেরকে শারীরিক নির্যাতন ও ইলেকট্রিক শক দিয়ে মুচলেকা নেওয়া হয়।
চাকরিচ্যুতদের দাবি, ফ্যাক্টরির ওয়াশরুমে ধূমপান করায় তাদের নির্যাতন করে বেতন না দিয়েই চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
জিম লাইট গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি থেকে চাকরিচ্যুত মেশিন অপারেটর ইব্রাহিম জোমাদ্দার, নয়ন হাওলাদার, হেলপার পলক জানান, গতকাল মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফ্যাক্টরিটিতে কাজের ফাঁকে তারা ওয়াশরুমে গিয়ে ধূমপান করেন। ধূমপানের অভিযোগে ফ্যাক্টরির সুপারভাইজার মো. মেহেদী ও লাইনম্যান মো. লিটন তাদের সেখান থেকে ধরে অ্যাডমিন অফিসার হৃদয় মাহমুদের কাছে নিয়ে যান। এরপর তিনি তাদের গালমন্দের পাশাপাশি শারীরিক নির্যাতন ও ইলেকট্রিক শক দিয়ে রোদে দাঁড় করিয়ে রাখেন। পরে মুচলেকা নিয়ে চাকরি থেকে অব্যাহতি দিয়ে বের করে দেন।
ইব্রাহিম, নয়ন ও পলক জানান, দেড় মাস হলো তারা সেখানে কাজে যোগ দেন। এর আগে এক মাসের বেতন তারা পেয়েছেন। কিন্তু চাকরিচ্যুত করলেও তাদের বাকি ১৫ দিনের বেতন দেননি অ্যাডমিন অফিসার হৃদয়।
অভিযোগ প্রসঙ্গে হৃদয় মাহমুদ বলেন, ‘এখানে বেপজার কিছু নিয়ম রয়েছে। নিয়ম ভঙ্গের কারণেই এটা করা হয়েছে। তাদের কোনো ধরনের নির্যাতন কিংবা ইলেকট্রিক শক দেওয়া হয়নি—এটা তারা বানিয়ে বলছে।’
মোংলা ইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক মাহবুব আহমেদ সিদ্দিক বলেন, ‘বিষয়টি আমিও শুনেছি। হৃদয় যদি এমন করে থাকে অবশ্যই তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর যাদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে—তারা তাদের বেতন অবশ্যই পাবেন। সেই ব্যবস্থাও আমি করছি।’