নামজারি আবেদনে বাড়তি কাগজপত্র জমা দিতে হবে না : ভূমি মন্ত্রণালয়
ভূমি ব্যবস্থাপনার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কর্মকাণ্ডের মধ্যে নামজারি, ভূমি উন্নয়ন কর, খতিয়ান বা পর্চা, জরিপ এবং জমির ম্যাপ সম্পর্কিত কাজ করে ভূমি মন্ত্রণালয়। অন্যদিকে ভূমি নিবন্ধন সম্পর্কিত কাজ করে আইন মন্ত্রণালয়। ভূমি মন্ত্রণালয়ের নামজারি এবং খতিয়ানের ডাটাবেজ আইন মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত নিবন্ধন অধিদপ্তরের সাথে সমন্বয়ের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
আজ রোববার ভূমি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। শীঘ্রই ই-নামজারির জন্য আধুনিক ফরম চালু করা হবে বলে জানানো হয় এ বিজ্ঞপ্তিতে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, কল সেন্টারের মাধ্যমেও নামজারির আবেদন জমা দেওয়া যাবে। জমির যেসব ডকুমেন্ট সরকারের কাছে রক্ষিত আছে তার কপি আর নাগরিককে নামজারি আবেদনের সময় জমা দিতে হবে না। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে নিবন্ধন দলিলমূলেও নামজারি করা হবে। এতে জমি হস্তান্তরে নতুন করে নামজারির প্রয়োজন হবে না।
এসব উদ্যোগ পুরোদমে কার্যকর হলে জমির মালিকানা হস্তান্তরের ভোগান্তি অনেকাংশে কমে আসবে। ৬৫ লাখ নামজারি আবেদনের মধ্যে ৫৭ লাখ আবেদন ইতোমধ্যেই নিষ্পত্তি হয়েছে।
আজ ভূমি সপ্তাহ উপলক্ষ্যে এ সংক্রান্ত এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ভূমি মন্ত্রণালয়। এতে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. মকবুল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে ভূমিমন্ত্রী জানান, সারা দেশের ভূমি অফিসগুলো সেবা দেওয়ার জন্য সেবা ক্যাম্প স্থাপন করেছে। এখন পর্যন্ত পাঁচ কোটি ১৩ লাখ খতিয়ান ডিজিটাইজ করা হয়েছে। একটি খতিয়ান থেকে পরবর্তীতে কতটি খতিয়ান তৈরি হয়েছে তাও জানা যাবে ডিজিটাল সিস্টেম থেকে।
এতে বোঝা যাবে মূল খতিয়ানের অন্তর্গত জমি এবং মূল খতিয়ানের অন্তর্গত অন্যান্য খতিয়ানের জমির পরিমাণের মধ্যে সামঞ্জস্য।
এ ছাড়া খতিয়ান ডাটাবেজ নিবন্ধন প্রক্রিয়ার সাথে সমন্বয় করা হলে একই জমি বারবার বিক্রি হওয়ার কোনো ধরনের সুযোগ থাকবে না এবং জাল দলিল তৈরি রোধ হবে। এরই সঙ্গে এখন কিউআর কোড দিয়েও দলিলের সঠিকতা এখন যাচাই করা যাচ্ছে। (জরিপ এবং ম্যাপ) 'মৌজা ও প্লট ভিত্তিক ডিজিটাল ভূমি জোনিং’ প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের সকল মৌজায় ডিজিটাল ও স্যাটেলাইট ইমেজের মাধ্যমে মানচিত্র তৈরি করে ভূমি ব্যবহার পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হবে।