নারায়ণগঞ্জ থেকে অন্য জেলায় লোক যাচ্ছে, উদ্বেগজনক : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
করোনাভাইরাস সব জায়গায় বিস্তার লাভ করেছে। এর মধ্যে নারায়ণগঞ্জ, মিরপুর ও বাসাবো অন্যতম। এ ছাড়া অন্যান্য জেলায়ও করোনা ছড়িয়ে পড়েছে। লক্ষ করেছি নারায়ণগঞ্জ থেকে বেশ কিছু লোক অন্য জেলায় চলে গেছে। এই বিষয়টি উদ্বেগজনক।
আজ শনিবার দুপুরে অনলাইনের মাধ্যমে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে অংশ নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, এটিকে আরো কঠিনভাবে দেখতে হবে। লক্ষ করেছি, লোকজন এখনো বাইরে ঘোরাঘুরি করছে। অলিতে গলিতে এবং সকালের বাজারে লোক সমাগম বেড়ে যাচ্ছে। তাতে সংক্রমণের হার আরো বেড়ে যাবে।'
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, লকডাউন ভালোভাবে কার্যকর হলে সংক্রমণের হার কমবে। ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি বাড়ানো হয়েছে। আশা করব এই কয়েকটি দিন কষ্ট করে যেন সবাই বাড়িতে থাকে। কয়েকদিন একটু কষ্ট করলে এই করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে আমরা জয়লাভ করতে পারব। আমাদের সেনাবাহিনী, পুলিশ অত্যন্ত কষ্ট করছে। আরো কষ্ট করতে হবে আগামী কয়েকদিন যাতে আমাদের লকডাউন কার্যকর হয়। ইতিমধ্যে বেশ কিছু চিকিৎসক, নার্স, সেনাসদস্য, পুলিশ সদস্য এবং গণমাধ্যমকর্মীর করোনা শনাক্ত হয়েছে। তাদের সুস্থতা কামনা করি।'
জাহিদ মালেক বলেন, 'গতকাল থেকে নতুন করে করোনা রোগী আক্রান্ত কম হওয়া এটা স্বস্তির খবর। এটা একটা ভালো সংবাদ। আমরা নতুন করে তিনটি হাসপাতালকে করোনা রোগীর জন্য সুসজ্জিত করছি। এ বিষয়ে আগেও বলেছি, বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারকে দুই হাজার বেডে উন্নীত করা হচ্ছে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে এক হাজার ৩০০ বেডে উন্নীত করা হচ্ছে। উত্তরা দিয়াবাড়িতে আমরা এক হাজার ২০০ বেডে উন্নীত করছি। সর্বমোট সাড়ে চার হাজার বেডের সংস্থান হবে। বর্তমান অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আরো বেশ কয়েকটি হাসপাতাল করোনার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন। আমাদের বেশ কয়েকটি হাসপাতালের চিন্তা রয়েছে।’
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসজনিত কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে আরো তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে ৩০ জনের মৃত্যু হলো। এ ছাড়া নতুন করে আরো ৫৮ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট ৪৮২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।