নিউইয়র্কে করোনা রোগীদের ১৬ ঘণ্টা চিকিৎসা দিচ্ছেন ডা. ফেরদাউস
মহামারি করোনাভাইরাসে ব্যাপকভাবে পর্যুদস্ত যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বাংলাদেশিসহ অন্য প্রবাসীদের কাছে ত্রাণকর্তা হিসেবে হাজির হয়েছেন জ্যাকসন হাইটসের চিকিৎসক ফেরদাউস খন্দকার। বাংলাদেশি এ চিকিৎসককে নিয়ে সংবাদমাধ্যম এবিসি সেভেন নিউইয়র্কে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। করোনার ভয়ে ভীত সন্ত্রস্ত বাংলাদেশিদের সেবায় দৈনিক ১৪ থেকে ১৬ ঘণ্টা করে কাজ করছেন ডা. ফেরদাউস।
বয়স্ক প্রবাসীদের ক্ষেত্রে ভাষা একটি বড় বাধা। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর থেকে আসা প্রবাসীদের চিকিৎসাসেবা দিতে তিনি পাঁচটি ভাষা আয়ত্ত করেছেন। প্রবাসী বয়স্কদের মধ্যে ভয়, করোনা নিয়ে হাসপাতালে গেলেই বুঝি মৃত্যু। এমন পরিস্থিতিতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে করোনা উপসর্গ রয়েছে এমন রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিয়ে আসছেন বাংলাদেশি এ চিকিৎসক। পাশাপাশি ইউটিউবে দিচ্ছেন নানা পরামর্শ। সবাইকে সাহস জুগিয়ে চলেছেন তিনি। রোগীদের নিজের ফোন নম্বর দিয়ে রাখছেন এবং দৈনিক প্রায় ২০০ ফোনকল ধরছেন ডা. ফেরদাউস। পিপিই পরে সবার দোরগোড়ায় পৌঁছে যাচ্ছেন আর সবাইকে একটাই বার্তা দিচ্ছেন, ঘরে থাকুন।
শুধু রোগীর চিকিৎসাসেবা নয়, নিজ উদ্যোগে রোগীদের মাস্ক, হ্যান্ডগ্লাভসের মতো জরুরি জিনিসপত্রও দিচ্ছেন তিনি। এ ছাড়া স্থানীয় কুইন্স হাসপাতালে ১০ হাজারের বেশি সরঞ্জাম সরবরাহ করেছেন ডা. ফেরদাউস।
এবিসি নিউজ সেভেনকে এ চিকিৎসক বলেন, নার্স ও চিকিৎসকদের এ সময়ে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিতদের ঘরে থাকার সুযোগ নেই। বয়স্কদের চিকিৎসাসেবায় ডা. ফেরদাউসের রয়েছে প্রচুর অভিজ্ঞতা। ২০০৩ সাল থেকে নিউইয়র্কের বাংলাদেশি অধ্যুষিত জ্যাকসন হাইটস ও ব্রুকলিন এলাকায় প্রবাসী বাংলাদেশিসহ ভিনদেশি মানুষকে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন ডা. ফেরদাউস খন্দকার।
এদিকে করোনাভাইরাসে যুক্তরাষ্ট্রে ৩৭ হাজার ১৫০ জন মারা গেছে। দেশটিতে মোট আক্রান্ত সাত লাখ ১০ হাজার ৩৩১ জন। তাদের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছে ৪২ হাজার ১৫৪ জন। বিশ্বে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে এক লাখ ৫৪ হাজার ২৩৬ জন। মোট আক্রান্ত ২২ লাখ ৫৬ হাজার ৮৫৮ জন। সুস্থ হতে পেরেছে পাঁচ লাখ ৬৩ হাজার ৭৪৩ জন।