নিজেকে সাধারণ মানুষ মনে করি : আবদুল হামিদ
বিদায়ী রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, যদিও আমি রাষ্ট্রপতি হয়েছি, কিন্তু নিজেকে আমি এদেশের সাধারণ মানুষ হিসেবে মনে করি। আজ মঙ্গলবার (২৪ এপ্রিল) রাজধানীর নিকুঞ্জে নিজ বাসা ‘রাষ্ট্রপতি লজে’র সামনে দাঁড়িয়ে গণমাধ্যমের কাছে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় গণমাধ্যমকে ধন্যবাদ জানিয়ে আবদুল হামিদ বলেন, ‘আপনাদের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। প্রচণ্ড রোদের মধ্যে আপনারা এখানে এসেছেন। আপনারা (গণমাধ্যম) আমার সব কথা টুইস্ট না করে সত্য কথা তুলে ধরেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ফ্রিলি আমাকে কাজ করার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। তিনি আমার কাজের কোনো বাধা সৃষ্টি করেননি।’
ভবিষ্যতে কোথায় বেশি সময় দেবেন এ প্রসেঙ্গ বিদায়ী রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আমার বেশিরভাগ থাকা হবে হাওর এলাকায়। এছাড়া ঢাকা ও কিশোরগঞ্জেও থাকব।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আমি সারা জীবন রাজনীতি করেছি, দেশের মানুষের কল্যাণের কথা চিন্তা করে। চেষ্টা করেছি আমার ক্ষুদ্র ক্ষমতা দিয়ে যেন এদেশে সুষ্ঠু রাজনীতি প্রবর্তন করা যায়। সেটা সফল হয়েছি এ কথা বলতে পারব না। তবে, আমার চেষ্টার ত্রুটি ছিল না।’
এর আগে আজ দুপুর ১টা ৪০ মিনিটের দিকে বঙ্গভবন থেকে বের হন তিনি। গতকাল (২৩ এপ্রিল) রোববার ছিল বঙ্গভবনে আবদুল হামিদের শেষ কার্যদিবস।
বঙ্গভবন থেকে ‘রাষ্ট্রপতি লজে’ পরিবারের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও অন্যান্য সামগ্রী আগেই স্থানান্তর করা হয়েছে। ২০১৩ সালে প্রথমে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ও পরে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর বঙ্গভবনে দুই মেয়াদে কেটেছে ১০ বছরেরও বেশি সময়। নতুন ইতিহাস গড়ে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিক বিদায়ী সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে আবদুল হামিদকে।
আজ দুপুরে রাস্তায় ফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে বিদায় জানান বঙ্গভবনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বাংলাদেশের ৫২ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো রাষ্ট্রপতির বিদায়ের দিনে এমন সংবর্ধনাপূর্ণ বিদায় আয়োজন করা হয়েছে। এর আগে, কোনো রাষ্ট্রপতিকে নিজেদের আয়োজনে বিদায় জানানোর সুযোগ হয়নি বঙ্গভবনের। এবার সেই সুযোগ পেয়ে কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা বিশাল আয়োজনের প্রস্তুতি নিয়েছেন।
বঙ্গভবনের প্রতিটি বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয় ফুলেল শুভেচ্ছা। কিশোরগঞ্জের সন্তান আবদুল হামিদ ২০১৩ সালের মার্চ মাসে অস্থায়ী ও ২৪ এপ্রিল প্রথম দফায় দেশের ২০তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন। এরপর ২০১৮ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে ২১তম রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নেন।