নিত্যপণ্যের দাম কমাতে সরকারকে আহ্বান গয়েশ্বরের
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমাতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, ‘নিত্যপ্রয়োজনীয় পণের দাম কমান, মানুষের জীবনের নিরাপত্তা দিন, আমি গুলি খাওয়ার জন্য প্রস্তুত আছি।’
আজ শনিবার দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত সমাবেশে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এ কথা বলেন।
গয়েশ্বর বলেন, ‘আজকে ঘরে থাকলে মরতে হয়, বাইরে গেলে গুম হতে হয়। কখনও কখনও গুলি খেয়ে মরতে হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় রাষ্ট্রের অনেক টাকা ব্যয় হয়, অনেক লোক নিয়োগ করা হয়েছে। অথচ জনগণ নিরাপত্তা পায় না।’
বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে মরিনি। ২০১৮ সালের ২৫ ডিসেম্বরের হামলায়ও মরিনি। যাঁরা এ হামলা করে, তাঁদের দেখাতে চাই—মানুষের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করলে মানুষ সম্মান করে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ‘মানুষ একবারই মরে। আজকে এ কেরানীগঞ্জে এসেছি মরার জন্য। আওয়ামী লীগ লোকজন অথবা পুলিশেরও কারও মারার ইচ্ছে থাকলে শার্টের বোতামগুলো খুলে দিচ্ছি। তারপরও মৌলিক অধিকার নিয়ে, মানুষের দুর্দশা নিয়ে কথা বলব। সরকারকে বলব—নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমান, মানুষের জীবনের নিরাপত্তা দিন, আমি গুলি খাওয়ার জন্য প্রস্তুত আছি।’
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘আজকে সব জিনিসের দাম বাড়ছে। শুধু দুটি জিনিসের দাম কমছে। একটা হচ্ছে মানুষের জীবনের দাম, অন্যটি হচ্ছে নারী ও শিশু দাম। আজকে অবুঝ শিশুরা ধর্ষণের শিকার হন, মা-বোনকে তাঁর ইজ্জত হারাতে হচ্ছে। অথচ মৌলিক বিষয়, অভাবের কথা বলা বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।’
সরকারের কাছে প্রশ্ন রেখে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘দেশের মানুষ তার অভাবের কথা প্রকাশ করতে পারবে না কেন?’
সীমান্তে হত্যা প্রসঙ্গে গয়েশ্বর বলেন, ‘যাঁরা সীমান্তের দায়িত্বে আছেন, তাঁদের কাছে অস্ত্র আছে। তাঁরা অন্যায় দেখলেও গুলি করতে পারে না। অন্যদিকে, ভারতের বিএসএফ পাখির মতো আমাদের মানুষকে একের পর এক গুলি করে মারছে। সে ক্ষেত্রে সরকারের কোনো প্রতিবাদ নেই।’
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘আমরা ফারাক্কার পানি অনেক আগে থেকে পাই না। এমনকি তিস্তার পানিও আমরা পাচ্ছি না। কিন্তু, উত্তর-পূর্ব ভারতে আমাদের ফেনী নদীর পানি মানবিক কারণে দেওয়া হচ্ছে। আমরা মানবিক কারণে পানি দিচ্ছি, যদিও আমাদের যথেষ্ট পানির অভাব রয়েছে। তাহলে ভারত থেকে পানি আনতে পারছি না কেন?’