নিপুণ আক্তারকে অবৈধ ঘোষণার রায় স্থগিত, পদে থাকবেন জায়েদ খান
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে অভিনেত্রী নিপুণ আক্তারকে অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোটের দেওয়া রায় চার সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। তবে, এ সময় সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খান থাকবেন বলে ওই পদের ওপর স্থিতাবস্থা দিয়েছেন আদালত।
আজ রোববার চেম্বার আদালতের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেত্বতাধীন বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নিপুণের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান।
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে অভিনেত্রী নিপুণ আক্তারকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী ঘোষণাকে অবৈধ বলে গত বুধবার রায় দেন হাইকোর্ট। এ রায়ের বিরুদ্ধে গত বৃহস্পতিবার আপিল করেন নিপুণ আক্তার।
গত ২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ১৭৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন চিত্রনায়ক জায়েদ খান। নিপুণ আক্তার পান ১৬৩ ভোট। এরপর টাকা দিয়ে ভোট কেনাসহ একাধিক অভিযোগ আনেন নিপুণ। পরে জায়েদের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে শিল্পী সমিতির আপিল বোর্ডে আবেদন করেন নিপুণ। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে করণীয় জানতে আবেদন করেন আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২ ফেব্রুয়ারি সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক চিঠিতে আপিল বোর্ডকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়। গত ৫ ফেব্রুয়ারি অর্থের বিনিময়ে ভোট কেনার দায়ে বিজয়ী প্রার্থী জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করেন আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান। একই সঙ্গে নিপুণকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা দেন।
আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন জায়েদ খান। ৭ ফেব্রুয়ারি আপিল বোর্ডের দেওয়া সিদ্ধান্ত স্থগিত করে আদেশ দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এক সপ্তাহের রুল জারি করেন আদালত। পরে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করেন নিপুণ। ৯ ফেব্রুয়ারি শুনানি শেষে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে স্থিতাবস্থা জারি করেন চেম্বার আদালত।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে চেম্বার আদালতের আদেশ বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে সাধারণ সম্পাদক পদে স্থিতাবস্থাও বহাল রাখা হয়। পাশাপাশি এ বিষয়ে জারি করা রুল হাইকোর্টকে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন আদালত। প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে ছয় বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।