নিবন্ধিত ব্যক্তিরা ক্রমানুসারে হজে যেতে পারবেন
পরিস্থিতির উন্নতি হলে পূর্বের প্রাক-নিবন্ধিত ও নিবন্ধিত ব্যক্তিরা ক্রমানুসারে আগামী ২০২২ সালে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে হজ পালনে সৌদি আরব যেতে পারবেন। ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান আজ বুধবার ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ থেকে হজেগমনেচ্ছু নিবন্ধিত ব্যক্তিদের বিষয়ে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণে আন্তমন্ত্রণালয় সভায় সভাপতির বক্তৃতায় এ সব কথা বলেন।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেন, কোভিড-১৯ করোনাভাইরাসজনিত বৈশ্বিক মহামারির কারণে ২০২০ ও ২০২১ সালে সৌদি আরবের অভ্যন্তরে সীমিত পরিসরে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে বহির্বিশ্ব থেকে কোনো হজযাত্রী সৌদি আরবে গমনের সুযোগ পাননি। সে ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ থেকেও কোনো হজযাত্রী পবিত্র হজব্রত পালনের জন্য সৌদি আরবে যেতে পারেননি।
ফরিদুল হক খান বলেন, কোনো প্রাক-নিবন্ধন ও নিবন্ধনকারী ব্যক্তি জমাকৃত অর্থ উত্তোলন করতে চাইলে নির্ধারিত নিয়ম অনুসরণ করে আবেদনের করে সে অর্থ উত্তোলন করতে পারবেন। সরকারি ব্যবস্থাপনাধীন হজে গমনের জন্য ২০২০ সালে তিন হাজার ৪৫৭ জন ব্যক্তি নিবন্ধন করেছিলেন। এদের মধ্যে ৭৫৭ জন ব্যক্তি তাদের নিবন্ধন বাতিল করে রিফান্ড গ্রহণ করেছেন এবং দুই হাজার ৭০০ জন ব্যক্তি বর্তমানে নিবন্ধিত রয়েছেন।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী জানান, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ২০২০ সালে হজে গমনের জন্য ৬১ হাজার ১৪২ জন ব্যক্তি নিবন্ধন করেছিলেন। তাদের মধ্যে সাত হাজার ৭১৯ জন ব্যক্তি তাদের নিবন্ধন বাতিল করে রিফান্ড গ্রহণ করেছেন এবং বর্তমানে ৫৩ হাজার ৪২৩ জন ব্যক্তি নিবন্ধিত রয়েছেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত বছরের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় নিবন্ধন প্রক্রিয়া চালু ছিল। এরপর আর কোনো নিবন্ধন করা হয়নি। তবে হজের প্রাক-নিবন্ধন প্রক্রিয়া চালু রয়েছে। আজ ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১ পর্যন্ত সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাক-নিবন্ধিত ব্যক্তির সংখ্যা পাঁচ হাজার ২২৪ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাক-নিবন্ধিত ব্যক্তির সংখ্যা এক লাখ ৭৪ হাজার ১৫৪ জন। নিবন্ধিত হজযাত্রীদের পাসপোর্টের মেয়াদ অতিক্রান্ত হয়ে থাকলে ২০২২ সালে হজে গমনের ক্ষেত্রে তা নবায়নের ব্যবস্থা গরহন করা হবে।
সভায় ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নূরুল ইসলামসহ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পাসপোর্ট অধিদপ্তর, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) প্রতিনিধিসহ হজ ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।