নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা জাতীয় স্মৃতিসৌধ এলাকা
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠান উপলক্ষে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়া হয়েছে সাভারকে।
ঢাকায় পা রেখেই দক্ষিণ এশিয়ার রাষ্ট্রনায়করা যাবেন সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে। শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাবেন মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রাণ উৎসর্গ করা লাখো শহীদের প্রতি।
তাদের এই সফরকে স্মরণীয় করে রাখতে স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে এশিয়ার রাষ্ট্রনায়করা গাছের চারা রোপণ করবেন। স্বাক্ষর করবেন পরিদর্শন বইতে।
সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে অতিথিদের সড়ক পথে স্মৃতিসৌধে আসা-যাওয়ার কর্মসূচি রয়েছে। তবে ব্যতিক্রম হলে আকাশপথে যাতায়াতের জন্যও প্রস্তুত থাকবে হেলিকপ্টার।
এশিয়ার রাষ্ট্রনায়কদের নিরাপত্তায় গোটা সাভার ঘিরেই নেওয়া হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
করোনার কারণে এমনিতেই স্মৃতিসৌধে দর্শনার্থী প্রবেশে রয়েছে নিষেধাজ্ঞা।
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ এমপি প্রস্তুতি সম্পর্কে নিয়মিত খোঁজখবর রাখছেন এবং পরিদর্শন করছেন জাতীয় স্মৃতিসৌধ।
শরীফ আহমেদ জানান, মান্যবর অতিথিদের পদচারণে মুখর থাকবে জাতীয় স্মৃতিসৌধ অঙ্গন। যে কারণে স্মৃতিসৌধ এলাকার চারপাশ ঘিরে তৈরি করা হয়েছে চার স্তরের নিরাপত্তাবলয়। মূলত জাতীয় স্মৃতিসৌধের কর্মসূচি দিয়েই পাঁচ রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সফরের আনুষ্ঠানিকতার সূচনা হবে।
তাই শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি নিয়ে বেশ ব্যস্ত দিন অতিক্রম করছেন পরিচ্ছন্নকর্মীসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
সেনাবাহিনীর নয় পদাতিক ডিভিশনের তত্ত্বাবধানে জাতীয় স্মৃতিসৌধে থাকবে রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ, গাছের চারা রোপণ ও পরিদর্শন বইতে স্বাক্ষরের আনুষ্ঠানিকতা।
আগামীকাল ১৭ মার্চ বুধবার থেকে একে একে জাতীয় স্মৃতিসৌধে আসবেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইবরাহিম মোহামেদ সলিহ, ১৯ মার্চ শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষে, ২২ মার্চ নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারি, ২৩ মার্চ ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং ও ২৬ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
এর মধ্যে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইবরাহিম মোহাম্মদ সোলিহের জন্য বকুলগাছ আর শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষের জন্য পারিজাত গাছের চারা নির্দিষ্ট করা হয়েছে।
রাষ্ট্রীয় অতিথিদের কারা জাতীয় স্মৃতিসৌধে অভ্যর্থনা জানাবেন- সেই তালিকাও চূড়ান্ত করা হয়েছে।
তালিকা অনুসারে রিসিপশন লাইনে থাকবেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী।
এ ছাড়া থাকবেন সেনাবাহিনীর নয় পদাতিক ডিভিশনের জিওসি, ঢাকা জেলার ডিসি ও এসপি।
জাতীয় স্মৃতিসৌধে ভিভিআইপিদের আনুষ্ঠানিকতা ঘিরে সব ধরনের মহড়াও সম্পন্ন করে এনেছেন সংশ্লিষ্টরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে ২৬ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করে চলে যাওয়ার পর পরই সর্ব সাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে জাতীয় স্মৃতিসৌধ।
এর আগে স্মৃতিসৌধ ও আশপাশের এলাকায় কাউকে ঘেষঁতেও দেওয়া হবে না। ঢাকা-আরিচা মহাসড়কসহ সংযুক্ত বিভিন্ন সড়ক মহাসড়কেও যান চলাচল সীমিত করে দেওয়া হবে।