নির্বাচন পরিচালনায় সেনাবাহিনী কোনো কাজে আসে না : নূরুল হুদা
নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের কোনো দরকার নেই, নির্বাচন পরিচালনায় তারা কোনো কাজে আসে না—এমন মন্তব্য করেছেন সদ্য সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা।
আজ রোববার সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি), নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিবদের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সংলাপের সময় একথা বলেন কে এম নূরুল হুদা। সকাল ১১টায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে এ সংলাপ শুরু হয়।
সংলাপে সাবেক সিইসি কে এম নূরুল হুদা বলেন, ‘নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন একেবারে দরকার নেই। কারণ, নির্বাচন পরিচালনায় তারা কোনো কাজে আসে না। এমনকি নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েনেরও প্রয়োজন নেই।’
নূরুল হুদা বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, নির্বাচনে সকল দলের অংশগ্রহণ দরকার। আমি জিতব, অবশ্যই জিতব—এই মানসিকতা থেকে বের হতে হবে।’
বর্তমান নির্বাচন কমিশন (ইসি) গত মার্চ মাস থেকে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন মহলের সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে সংলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় আজ এই সংলাপের আয়োজন করা হয়।
আজকের সংলাপে আরও বক্তব্য রাখেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রউফ, সাবেক নির্বাচন কমিশনার শাহ নেওয়াজ, শামসুল হুদা, মাহবুব তালুকদার প্রমুখ।
সংলাপে শামসুল হুদা বলেন, ‘এবারের নির্বাচনে সব দল না এলে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না। বিএনপির বক্তব্যে বোঝা যাচ্ছে, তারা বর্তমান পরিস্থিতিতে নির্বাচনে আসতে চায় না। তাদের নির্বাচনে আনতে নির্বাচন কমিশনকে ভূমিকা পালন করতে হবে। একটি রাজনৈতিক দল একটি গণতান্ত্রিক দেশে বেশি দিন নির্বাচনের বাইরে থাকতে পারে না। উই হ্যাভ টু ক্রিয়েট দ্যাট এনভায়রনমেন্ট (সেই পরিবেশটা আমাদের তৈরি করতে হবে)।’
নির্বাচন কমিশনকে সম্পূর্ণ স্বাধীন হতে হবে। স্বাধীনভাবে কাজ করতে হবে উল্লেখ করে শামসুল হুদা বলেন, ‘কোনো পর্যায়ে সাবেক কমিশনারদের সহযোগিতা দরকার হলে কমিশনকে সহযোগিতা করা হবে।’
এ সময় সাবেক নির্বাচন কমিশনার শাহ নেওয়াজ বলেন, ‘ব্যালট পেপারেও তো সিল মারা যায়। এ জন্য ইভিএমকে দোষারোপ করে লাভ নেই। ইসিতে যে ডাকাত দাঁড়িয়ে থাকার কথাটি বলা হয়, এটা আসলে সত্যি। এই বিষয়টি শক্তভাবে দেখতে হবে। ডাকাত সরাতে পারলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে।’
সংলাপে মাহবুব তালুকদার বলেন, ‘আগামী জাতীয় নির্বাচনে জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং কর্মকর্তা না করে নিজস্ব জনবল নিয়োগ দিতে হবে। ইভিএম বা ভোটকেন্দ্র পাহারা দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে সরকার ও ইসিকে বসতে হবে। সংবিধান সংশোধন না হলে নির্বাচন প্রক্রিয়া পরিবর্তন করা যাবে না।’