নিয়োগ পরীক্ষায় অসদুপায় : মা-মেয়েসহ ৫ জন কারাগারে
নীলফামারীতে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের নিয়োগ পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে পাঁচ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ শুক্রবার অনুষ্ঠিত নিয়োগ পরীক্ষা চলাকালে এ দণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
সরকারি কলেজ কেন্দ্রে তিনজন এবং রাবেয়া বালিকা বিদ্যানিকেতন কেন্দ্রে দুজনকে এই দণ্ডাদেশ দেন দুই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। দণ্ডিতদের মধ্যে মা ও মেয়েও রয়েছেন।
এদের মধ্যে জলঢাকা উপজেলার শৌলমারী ইউনিয়নের আফিফা আফরোজকে দুদিন, একই ইউনিয়নের রনজিনা আকতার ও মীরগঞ্জ ইউনিয়নের আদুরী খানম এবং নীলফামারী সদর উপজেলার চাপড়া সরমজানী ইউনিয়নের যাদুরহাট এলাকার রাশেদা বেগম ও রাশেদার মেয়ে সিমলা আকতারকে তিন দিন করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
পরিবার পরিকল্পনা দপ্তরসূত্র জানায়, নীলফামারী সরকারি কলেজ কেন্দ্রে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেসমিন নাহার ও রাবেয়া বালিকা বিদ্যানিকেতন কেন্দ্রে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইবনুল আবেদীন দায়িত্ব পালন করেন।
ইউএনও জেসমিন নাহার জানান, সরকারি কলেজ কেন্দ্রে জলঢাকার তিন পরীক্ষার্থী তাদের মোবাইল ফোনে প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে বাহিরে পাঠানোর অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে আফিফা আফরোজকে দুদিন, অপর দুজনকে তিন দিন করে কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
সহকারী কমিশনার(ভূমি) ইবনুল আবেদীন জানান, রাবেয়া বালিকা বিদ্যানিকেতনে মা রাশেদা বেগমের পরীক্ষা দিতে বসেছিলেন মেয়ে সিমলা আকতার। পরীক্ষার্থী রাশেদার স্বাক্ষরে মিল না পাওয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে মেয়ে সিমলা ও মা রাশেদাকে তিন দিন করে কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
ইউএনও জেসমিন নাহার জানান, দণ্ডিতদের আজ দুপুরে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
জেলা পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোজাম্মেল হক জানান, নীলফামারীতে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ৭৬টি পদে নিয়োগের জন্য দরখাস্ত আহ্বান করা হয়। এর বিপরীতে পাঁচ হাজার ৩৮১ জন আবেদন করলেও আজ অনুষ্ঠিত নিয়োগ পরীক্ষায় দুই হাজার ১০১ জন অংশগ্রহণ করেন।