নড়াইলে কৃষিজমিতে ঘের করার প্রতিবাদে মানববন্ধন
নড়াইলের কালিয়া উপজেলার মাউলি গ্রামের বিল বালিচায় কৃষিজমিতে ঘের কাটার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসী। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় ঘটনাস্থলে মানববন্ধন করেন তাঁরা।
মানববন্ধনকারীদের অভিযোগ, চিহ্নিত সন্ত্রাসী লেলিয়ে দিয়ে রাতের আঁধারে কৃষিজমি দখলের পর ঘের করা হচ্ছে। এতে আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন ওই এলাকার কয়েকশ কৃষকপরিবার।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন মাউলি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য তপন কুমার হাজরা, বর্তমান মেম্বার অশেষ সিকদার, নারী মেম্বার আয়না বেগম, কৃষক আকরাম মোল্লা, কামাল মণ্ডল, মিটুল বিশ্বাস, এস এম বায়েজিদ হোসেন, অমরেশ বিশ্বাস, সুবোধ বিশ্বাস প্রমুখ।
বক্তারা সন্ত্রাসীকর্মকাণ্ডের উপযুক্ত বিচার দাবি করেন।
সরেজমিনে গেলে কৃষক এস এম বায়েজিদ হোসেন বলেন, ‘চিহ্নিত সন্ত্রাসী নিয়ে রাতের আঁধারে ভেকু দিয়ে প্রায় ২০০ একর কৃষিজমি দখল করে ঘের কাটা শুরু হয়েছে।’ তিনি বলেন, বেশির ভাগ জমি হিন্দু সম্প্রদায়ের। কৃষকরা বাধা দিতে গেলে ওই সন্ত্রাসীরা তেড়ে আসে। পরে তারা ইউপি চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়। পরে গ্রামবাসী জোটবদ্ধ হয়ে প্রতিবাদ করায় সন্ত্রাসীরা সটকে পড়ে।’
কৃষক সুবোধ বিশ্বাস বলেন, ‘হিন্দুদের কৃষিজমি জবরদখল করে ঘেরের কাজ চলছে। আমরা এখন যাব কোথায়? কার কাছে বিচার চাইব?’
মাউলি ইউনিয়নের নারী সদস্য আয়না বেগম বলেন, ‘যিনি এই জঘন্য কাজ করছেন, তিনি এখানে থাকেন না। এলাকার কিছু চিহ্নিত সন্ত্রাসী দিয়ে এই গরিব হিন্দুদের কৃষিজমি দখল করে ঘের কাটাচ্ছেন। এখানে যে বাড়ি করেছেন, সেই বাড়িতে তিনি বসবাস করেন না। বাড়ি দেখাশোনা করার জন্য লোক রেখেছেন।’
আয়না বেগম আরও বলেন, ‘কুমড়ি গ্রামের শ্বশুরকূলের লোকজন প্রভাবশালী হওয়ায় তিনি এতটা সাহস পেয়েছেন। আমরা এর বিচার চাই।’
মাউলি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রোজি হক বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানিয়েছি।’
কালিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো, আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’