পারিবারিক কবরস্থানে শায়িত সাংবাদিক মোমেন স্বপন
এনটিভি অনলাইনের সিনিয়র নিউজরুম এডিটর মো. মোমেনুর ইসলাম মণ্ডল স্বপনের লাশ দ্বিতীয় জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনেটে দ্বিতীয় জানাজা শেষে বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার বেড়িনজো গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁর লাশ দাফন করা হয়।
সাংবাদিক মো. মোমেনুর ইসলাম মণ্ডল স্বপনের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন এনটিভির চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোহাম্মদ মোসাদ্দেক আলী। একইসঙ্গে আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি।
রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সেস ও হাসপাতালে আজ শুক্রবার সকাল ৭টা ১০ মিনিটে মৃত্যু হয় তাঁর । তাঁর বয়স হয়েছিল ৪৫ বছর।
এর আগে এনটিভি কার্যালয়ের সামনে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে সাংবাদিক মোমিনুর ইসলামের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজার পর তাঁকে শেষবারের মতো বিদায় জানান তাঁর অশ্রুসিক্ত সহকর্মীরা।
জানাজায় এনটিভির পরিচালক নুরুদ্দীন আহমেদ, এনটিভি অনলাইনের সম্পাদক খন্দকার ফকরউদ্দীন আহমেদ ও তাঁর সহকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ মোমেনের স্বজনরা জানাজায় অংশ নেন।
এনটিভি কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিক মোমেনুর ইসলামকে নেওয়ার পর তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন এনটিভির পরিচালক নুরুদ্দীন আহমেদ ও এনটিভি অনলাইনের সম্পাদক খন্দকার ফকরউদ্দীন আহমেদ। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে স্ট্রোক করেন তিনি। প্রথমে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে বিকেল পৌনে ৫টার দিকে তাঁকে রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সেস ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যেই আজ শুক্রবার সকাল ৭টা ১০ মিনিটে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
মোমেনুর ইসলামের মৃত্যুর খবর শুনে তাঁর সহকর্মীরা হাসপাতালে ছুটে যান। সেখানে তাঁর স্ত্রীসহ স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন। তাঁর স্ত্রী ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে থাকেন। একবার দেখতে চান স্বামীকে। জানাজা শেষে তার কফিন লাশবাহী গাড়িতে তুলে দেন সহকর্মীরা।
সাংবাদিক মোমেনুর বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার বাসিন্দা। তিনি এনটিভি অনলাইনে সিনিয়র নিউজরুম এডিটর হিসেবে ২০১৯ সাল থেকে কর্মরত ছিলেন। সাংবাদিকতা ছাড়াও তিনি গান ও নাটক লিখতেন। এ ছাড়া ছবিও আঁকতেন তিনি। তিনি মা-বাবা, স্ত্রী ও দুই ছেলে সন্তান রেখে গেছেন।