পাহাড়ের উন্নয়ন ও নিরাপত্তায় সব পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
পাহাড়ের উন্নয়ন ও নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে সমান গুরুত্ব দিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে নানামুখী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামের বান্দরবান, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি খুবই সুন্দর তিনটি জেলা। এখানে ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজ করা হচ্ছে। উন্নয়নের সঙ্গে এই অঞ্চলের নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হচ্ছে।’
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বান্দরবানের দুর্গম থানচি উপজেলায় সদ্যনির্মিত মডেল থানা ভবনের উদ্বোধনকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গণমাধ্যমে এসব কথা বলেন।
আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ‘এরই মধ্যে মিয়ানমারের সঙ্গে সীমান্ত সড়ক নির্মাণের কাজও চলমান রয়েছে। সীমান্ত সড়ক বাস্তবায়িত হলে এই অঞ্চলে উন্নয়ন ও বিনিয়োগ আরো বেড়ে যাবে।’
এ সময় অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিন, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন, বান্দরবানের জেলা প্রশাসক মো. দাউদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার জেরিন আখতার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, ‘সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হচ্ছে। এরই মধ্যে নাইক্ষ্যংছড়ি ও থানচি উপজেলায় সীমান্ত সড়ক নির্মাণের কাজ দ্রুতগতিতে চলমান রয়েছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের স্বার্থে থানচি-লিইক্রে সীমান্ত সড়ক নির্মাণের কাজও শুরু হয়েছে। পার্বত্যাঞ্চলের নিরাপত্তায় যা যা করা দরকার সবকিছুই করা হবে। সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ সবার সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। যাতে পার্বত্যাঞ্চল তথা সীমান্ত আরো বেশি নিরাপদ ও সুরক্ষিত করা যায়।’
জানা গেছে, গণপূর্ত বিভাগ (পিডব্লিউডি) ও স্থাপত্য অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে এবং বাংলাদেশ পুলিশের সার্বিক সহযোগিতায় নয় কোটি ৪৭ লাখ টাকা ব্যয়ে থানচি উপজেলায় চারতলা বিশিষ্ট মডেল থানা ভবনটি নির্মিত হয়েছে।
এর আগে আজ সকালে মন্ত্রী হেলিকপ্টারে করে ঢাকা থেকে বান্দরবানের থানচি এসে পৌঁছান। পরে মন্ত্রীসহ অতিথিরা থানা ভবনের সামনে বৃক্ষরোপণ করেন। এ ছাড়া স্থানীয়দের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে যোগ দেন মন্ত্রী।
বিকেলে মন্ত্রী নির্মাণাধীন সীমান্ত সড়কের বাগলাই নামক চার কিলোমিটার স্থানটি পরিদর্শন করেন। রাতে তিনি স্থানীয় একটি বেসরকারি রিসোর্টে রাত্রিযাপন করবেন বলে জানা গেছে। আগামীকাল শুক্রবার থানচির রেমাক্রী এলাকা পরিদর্শন করে বান্দরবান ত্যাগ করবেন মন্ত্রী।