পাহাড়ে অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি কমেনি : হানিফ
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেছেন, ‘পার্বত্যাঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠায় শান্তিচুক্তি করেছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার। এরপর অবহেলিত পার্বত্য চট্টগ্রামে উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। তবে পাহাড়ে অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি এখনো কমেনি। অবৈধ পথ অনুসরণ করে কখনো লক্ষ্য অর্জন সম্ভব নয়। বন্দুকের নলের জোরে কোনোদিনও জনকল্যাণ বয়ে আসবে না।’
আজ সোমবার বিকেলে বান্দরবানের অরুণ সার্কিট টাউন হল মিলনায়তনে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাহবুব-উল-আলম হানিফ এ কথা বলেন।
মাহবুব-উল-আলম হানিফ আরো বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর প্রতি বিশ্বাস, আস্থা রাখুন। পার্বত্য শান্তিচুক্তি হয়েছে, চুক্তির শতভাগ বাস্তবায়নও করা হবে। এর মধ্যে চুক্তির অধিকাংশ ধারা বাস্তবায়িত হয়েছে। বাকিগুলোও বাস্তবায়নের পথে। তবে ধৈর্য ধারণ করতে হবে। অবৈধ অস্ত্রের দাপট দেখিয়ে উন্নয়নে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে অধিকার প্রতিষ্ঠা করা যাবে না। অবৈধ পন্থা অবলম্বন এবং সন্ত্রাসীর পথ পরিহার করে উন্নয়নের পথে ফিরতে হবে। আলোচনার মাধ্যমে অগ্রসর হতে হবে।’
আওয়ামী লীগ নেতা আরো বলেন, ‘আওয়ামী লীগের শেকড় বাংলার মাটির সঙ্গে মিশে আছে। অবৈধ শক্তির জোরে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে নামানো যাবে না। দেশের মানুষের আস্থার নাম এখন আওয়ামী লীগ।’
বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রার্থীদের ঐক্যমতের ভিত্তিতে দ্বিতীয়বারের মতো বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লাকে সভাপতি এবং বান্দরবান পৌরসভার মেয়র মো. ইসলাম বেবীকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়েছে।
এদিকে এর আগে আজ সকালে স্থানীয় রাজারমাঠে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে ত্রিবার্ষিক সম্মেলন ও কাউন্সিলের উদ্বোধন করেন মাহবুব-উল-আলম হানিফ।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়কমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং, আওয়ামী লীগের উপপ্রচার প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমীন, উপদপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ক্যশৈহ্লা, সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক শফিকুর রহমান, পৌরসভার মেয়র মো. ইসলাম বেবী প্রমুখ।
এদিকে সম্মেলনে অংশ নিতে বান্দরবানের সাতটি উপজেলা, দুটি পৌরসভা এবং ৩৩টি ইউনিয়ন থেকে হাজার হাজার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে জড়ো হয় রাজারমাঠের সমাবেশস্থলে।