পায়রা নদীতে সেতু, শীর্ষেন্দুর ইচ্ছে পূরণ করলেন প্রধানমন্ত্রী
পটুয়াখালী সরকারি জুবিলী উচ্চবিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র শীর্ষেন্দু বিশ্বাস। খরস্রোতা পায়রা নদীতে সেতু চেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে চিঠি লিখেছিল। সেই ২০১৬ সালের কথা। প্রধানমন্ত্রী সেই চিঠির জবাবও দেন। আশ্বাস দিয়েছিলেন, সেতু নির্মাণ করা হবে। ২০২০ সালে শীর্ষেন্দুর সেই স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে।
পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলার পায়রা নদীর উপর এক হাজার ৪২ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘কচুয়া-বেতাগী-পটুয়াখালী-লোহালিয়া-কালাইয়া সড়কের ১৭তম কিলোমিটারে পায়রা নদীর উপর সেতু নির্মাণ’ প্রকল্পটি চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে পূরণ হবে শীর্ষেন্দুর ইচ্ছে।
গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়। এটিসহ প্রায় ২৪ হাজার ১১৩ কোটি ২৭ লাখ টাকা ব্যয়ে নয়টি প্রকল্প এদিন অনুমোদন দেওয়া হয়।
সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘আপনাদের সবার মনে আছে, একটি সেতু চেয়ে শিশু শীর্ষেন্দু আমাদের প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি লিখেছিল। শিশুটির চিঠিতে অনেক মানবিক যুক্তি ছিল। আমাদের প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত মানবিক-দয়ালু। শিশুকে দেওয়া কথা রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী। আমি শিশু শীর্ষেন্দুকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’
প্রকল্পটির প্রধান উদ্দেশ্য হলো, পায়রা নদীর উপর পায়রাকুঞ্জ নামক স্থানে এক হাজার ৬৯০ মিটার দীর্ঘ সেতু নির্মাণের মাধ্যমে মির্জাগঞ্জ উপজেলার সঙ্গে পটুয়াখালী সদর এবং ঢাকার সরাসরি, নিরবচ্ছিন্ন ও ব্যয় সাশ্রয়ী সড়ক যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা করা। ২০২৫ সালের মধ্যেই শীর্ষেন্দুর ইচ্ছে পূরণ করা হবে।