পুলিশ কর্মকর্তা সোহেল রানা সাময়িক বরখাস্ত
ভারতে আটক রাজধানীর বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল রানাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার তাঁকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে এনটিভি অনলাইনকে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগের উপকমিশনার আসাদুজ্জামান।
ই–কমার্স প্রতিষ্ঠান ই–অরেঞ্জের সঙ্গে সম্পৃক্ত সোহেল রানাকে গত শুক্রবার সীমান্ত এলাকা থেকে আটক করা হয়। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্যেরা অনুপ্রবেশের অভিযোগে পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার চ্যাংড়াবান্ধা সীমান্ত থেকে তাঁকে আটক করেন।
জানা গেছে, বিএসএফের হাতে আটক সোহেল রানা গ্রাহকের কোটি কোটি টাকা ‘আত্মসাৎকারী’ বহুল আলোচিত ই–কমার্স প্রতিষ্ঠান ই–অরেঞ্জের পৃষ্ঠপোষক। তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশের বনানী থানায় পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এ পরিদর্শকের বোন ও ভগ্নিপতি ই–কমার্স প্রতিষ্ঠান ‘ই–অরেঞ্জ’ পরিচালনা করতেন।
গত ১৭ আগস্ট অগ্রিম অর্থ পরিশোধের পরও মাসের পর মাস পণ্য না পাওয়ায় ই–অরেঞ্জের বিরুদ্ধে মামলা করেন প্রতারণার শিকার গ্রাহক মো. তাহেরুল ইসলাম। ওই সময় তার সঙ্গে প্রতারণার শিকার আরও ৩৭ জন উপস্থিত ছিলেন। গ্রাহকের এক হাজার ১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ওই মামলা হয়। আসামিরা হলেন ই–অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন, তার স্বামী মাসুকুর রহমান, আমানউল্ল্যাহ, বিথী আক্তার, কাউসার আহমেদ ও পুলিশের বনানী থানার পরিদর্শক সোহেল রানা।
তবে, শুরু থেকেই ই–অরেঞ্জের সঙ্গে নিজের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছিলেন পরিদর্শক সোহেল রানা। যদিও অরেঞ্জ বাংলাদেশ নামে প্রতিষ্ঠান খুলতে নেওয়া টিআইএন সনদে পরিচালক হিসেবে সোহেল রানার নাম দেখা যায়। প্রতিষ্ঠানটি থেকে বিভিন্ন সময়ে আড়াই কোটি টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।