প্রকৌশলীকে আ.লীগ নেতার ছেলের চড়-থাপ্পর
নিম্নমানের ইট দিয়ে রাস্তা নির্মাণের কাজ বন্ধ করতে বলায় বাঘা উপজেলা উপ-সহকারী প্রকৌশলীকে চড়-থাপ্পর মারলেন পৌর আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল কুদ্দুস সরকারের ছেলে সেলিম আহম্মেদ। আজ রোববার দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে মারধরের এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে আধাবেলা কলমবিরতি কর্মসূচি পালন করেন বাঘা উপজেলা প্রকৌশল দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার হাবাসপুর এলাকায় প্রায় ৩৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ৫০০ মিটার সাব-বেইজ রাস্তা নির্মাণের কাজ পান ‘মমো এন্টারপ্রাইজ’ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
পরে তাদের কাছ থেকে কিনে নিয়ে কাজ শুরু করেন স্থানীয় ঠিকাদার ও বাঘা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস সরকার। আর এটি দেখভাল করেন তাঁর বড় ছেলে সেলিম আহম্মেদ।
স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, রাস্তার নির্মাণকাজে নিম্নমানের ইট ব্যবহার করা হচ্ছে। এলাকাবাসী বিষয়টি আজ সকালে উপজেলা প্রকৌশলীকে মোবাইল ফোনে জানান। এর কিছুক্ষণ পর উপ-সহকারী প্রকৌশলী ফরিদ আহম্মেদ ঘটনাস্থলে যান এবং শ্রমিকদের কাজ করতে নিষেধ করে অফিসে চলে যান।
এদিকে, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ওই আওয়ামী লীগ নেতার ছেলে সেলিম আহম্মেদ উপ-সহকারী প্রকৌশলীর অফিসে যান। তিনি এ নিয়ে প্রকৌশলীর সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে সেলিম উপ-সহকারী প্রকৌশলী ফরিদ আহম্মেদকে চড়-থাপ্পড় মারেন এবং অফিস কক্ষের মধ্যে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন। এ ঘটনা দেখেছেন ওই অফিসের অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সেলিম আহম্মেদ উপ-সহকারী প্রকৌশলী ফরিদ আহম্মেদকে মারপিট করেননি বলে দাবি করেন। তবে তাঁকে ধাক্কা দেওয়ার কথা স্বীকার করেন।
উপ-সহকারী প্রকৌশলীকে মারধরের বিষয়ে জানতে চাইলে বাঘা উপজেলা প্রকৌশলী রতন কুমার বলেন, ‘বাড়ির খেয়ে বনের মহিষ চড়াতে আর রাজি না। প্রয়োজনে এখানে আর চাকরি করব না। অন্যায়ভাবে সরকারি কর্মকর্তাদের গায়ে হাত তুলবে, এটা মেনে নেওয়া যায় না।’ এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান তিনি।