ফেনীর বড় দীঘি ভরাট বন্ধে স্থিতাবস্থা জারি
ফেনী সদর উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সন্নিকটে সুন্দরপুর নামক স্থানে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী ‘মোহাম্মদ আলী দীঘি’ ভরাট বন্ধের ওপর দুই মাসের স্থিতাবস্থা জারি করেছেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে দীঘিটি মাটি ভরাট হতে রক্ষা, পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণের ব্যর্থতা কেন আইন বহির্ভুত হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে।
রুলে দীঘিটি ভরাট হতে রক্ষা, ভরাটকৃত অংশ পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা, বৃহত্তর জনস্বার্থে সংরক্ষণ করা ও পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের আওতায় এনে দোষীদের শাস্তি প্রদানের নির্দেশ কেন প্রদান করা হবে না তাও জানতে চেয়েছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার বিচারপতি এম এনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। ব্যারিস্টার মোহাম্মদ আশরাফ আলীর সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ খান।
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) দায়ের করা এক জনস্বার্থমূলক মামলার প্রাথমিক শুনানি শেষে আদালত এ আদেশ দেন। পাশাপাশি আগামী বছরের ২২ জানুয়ারি মামলাটি পূর্ণাঙ্গ শুনানির জন্য তালিকায় রাখার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ খান সাংবাদিকদের বলেন, ফেনী প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ফেনী শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবিস্থত ১৩ একর আয়তনবিশিষ্ট শতবর্ষী দীঘিটি ভরাট করে ভবন নির্মাণ করছে। এ নিয়ে বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
প্রকাশিত প্রতিবেদন নিয়ে বেলা জনস্বার্থে একটি মামলা করে। আদালত দীঘি ভরাটের উপর অন্তবর্তীকালীন স্থিতাবস্থা ও রুল জারি করেন। দেশে প্রচলিত আইন অনুযায়ী, জলাধার হিসেবে চিহ্নিত কোনো ভূমি ভরাট ও শ্রেণি পরিবর্তন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
রুলে যাদের বিবাদী করা হয়েছে তাঁরা হলেন- ভূমি মন্ত্রণালয় সচিব, পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মহা-পরিচালক, পরিবেশ অধিদপ্তর, ফেনীর জেলা প্রশাসক, ফেনীর পুলিশ সুপার, ফেনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক, ফেনী জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক, ফেনী সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি), ফেনী সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ফেনী বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্ট্রির সভাপতি।