বঙ্গবন্ধুর খুনি রিসালদার মোসলেহ উদ্দিনের আটকের গুঞ্জন
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আরেক খুনি রিসালদার (বরখাস্ত) মোসলেহ উদ্দিন ভারতে আটক হয়েছেন বলে অসমর্থিত সূত্রের বরাতে জানিয়েছেন দেশটির একটি গণমাধ্যম।
তবে বিষয়টি সম্পর্কে তিনি এখনো নিশ্চিত নন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। আজ সোমবার গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘আমার কাছে পুরোপুরি নিশ্চিত কোনো খবর নেই। এ বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।’
খুনি রিসালদার (বরখাস্ত) মোসলেহ উদ্দিনকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের জেলা দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা থেকে আটক করা হয়েছে বলে ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি সেখানে একজন ইউনানি চিকিৎসক হিসেবে বাড়ি ভাড়া নিয়ে বসবাস করছিলেন।
মোসলেম উদ্দিনকে আটকের গুঞ্জনটি এমন সময়ে এলো, যার কয়েকদিন আগেই বঙ্গবন্ধুর আরেক খুনি পলাতক ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদকে গ্রেপ্তার করে ফাঁসির রায় কার্যকর করা হয়েছে। সেই সময়ও গণমাধ্যমের প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদনে উঠে এসেছিল যে, খুনি মাজেদ দীর্ঘদিন ভারতে পলাতক ছিলেন। ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হচ্ছে, খুনি আব্দুল মাজেদকে জিজ্ঞাসাবাদের সূত্র ধরেই গোয়েন্দারা মোসলেহ উদ্দিনের হদিশ পেয়েছেন।
সোমবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গের প্রভাবশালী আনন্দবাজার পত্রিকা ‘মুজিবের আর এক খুনিও কি এই বঙ্গে?’ শিরোনামে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ‘আব্দুল মাজেদের মতো পরিচয় ভাঁড়িয়ে শেখ মুজিবের আর এক খুনিও দীর্ঘদিন পশ্চিমবঙ্গে আশ্রয় নিয়ে রয়েছে বলে দাবি বাংলাদেশের গোয়েন্দা সূত্রের।’
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর রোডে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার সময় মোসলেহ উদ্দিন অন্যান্য আসামির সঙ্গে সরাসরি অংশগ্রহণ করেন। তাঁর অবস্থানের বিষয়ে সরকারের কাছে নিশ্চিত কোনো তথ্য না থাকলেও মনে করা হতো তিনি থাইল্যান্ডে পালিয়ে আছেন।
সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন মোসলেহ উদ্দিন দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার গোবরডাঙ্গার ঠাকুরনগর এলাকার চাঁদপাড়া রোডের একটি বাড়িতে বসবাস করতেন। এই এলাকায় ‘ডাক্তার দত্ত‘ নামে পরিচিত ছিলেন এবং ‘ইউনানি ফার্মেসি‘ নামে একটি প্রতিষ্ঠানে আয়ুর্বেদ ও হোমিও চিকিৎসা করতেন।
এর আগে গত ৬ এপ্রিল দিবাগত রাত ৩টার দিকে মিরপুর সাড়ে ১১ নম্বর এলাকা থেকে বঙ্গবন্ধু খুনের ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পরে ১১ এপ্রিল দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে তার ফাঁসি কার্যকর করা হয়।