বর্ধিত বাসভাড়া চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে, জনগণ মানবে না
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান বলেছেন, ‘১৯৮৭ সালের ১৪ মার্চ বাসভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে ছাত্ররা আন্দোলন করেছিল। সেদিন হরতাল ডেকেছিল, সেই হরতালে টাঙ্গাইলের ছাত্রনেতা জগলু নিহত হয়েছিল। আজকে জনগণের ওপর বর্ধিত বাসভাড়া চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে, ডিজেলের দাম বাড়িয়ে কৃষকের ইরিগেশন বন্ধ করে দিয়েছে। সেজন্য এই বর্ধিত বাসভাড়া, কেরোসিন, ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি কোনোভাবেই জনগণ মেনে নেবে না। অতএব ডিজেল কেরোসিন পূর্বের মূল্যে ফিরিয়ে আনতে হবে।’
শহীদ নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে আজ বুধবার সকালে রাজধানীর জিরো পয়েন্টে নূর হোসেন স্কয়ারে নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের নেতা ও ডাকসুর সাবেক ভিপি আমান উল্লাহ আমানের নেতৃত্বে দলীয় নেতাকর্মীরা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। পরে আমান উল্লাহ আমান সাংবাদিকদের সামনে এসব কথা বলেন।
আমান উল্লাহ আমান বলেন, ‘সেদিন নূর হোসেনের রক্তের বিনিময়ে স্বৈরাচারের পতন হয়েছিল, দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। কিন্তু আজকে দেশের যে অবস্থা, সেই গণতন্ত্র অনুপস্থিত। গণতন্ত্র অবরুদ্ধ, মানবাধিকার ভুলুণ্ঠিত। একদলীয় শাসন ব্যবস্থা চলছে। দমন, নির্যাতন, নিপীড়ন চলছে। আজকে সাংবাদিকদের লেখার স্বাধীনতা নেই, কথা বলার স্বাধীনতা নেই।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আপনারা দেখছেন আজকে এই সরকার জনগণের ওপর চেপে বসেছে। এই সরকার আগের রাতের ভোটে নির্বাচিত। যেহেতু এই সরকার অবৈধ, জনগণের সরকার নয়, গণতান্ত্রিক সরকার নয়, সেহেতু জনগণের কাছে তাদের কোনো জবাবদিহিতা নেই। আজকে কেরোসিন, ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি করে জনগণের ওপর বর্ধিত বাসভাড়া চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে আমান উল্লাহ আমান বলেন, ‘২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন ২৯ ডিসেম্বর রাতে হয়ে গেছে। সেজন্য আজকে জনগণের প্রত্যাশা দলমত নির্বিশেষে আগামী দিনে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে। যদি এই সরকার সেই দাবি মেনে না নেয়, যদি তত্ত্বাবধায়ক সরকার না দেয়, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করার চেষ্টা করে, বাংলাদেশে সে নির্বাচন হবে না, প্রতিহত করা হবে। ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য, গণতন্ত্র পুনপ্রতিষ্ঠার জন্য, যেকোনো ত্যাগ স্বীকার করতে জনগণ মাঠে নামবে।’