বাংলাদেশ ঐতিহ্যগতভাবে ধর্মীয় সম্প্রীতির দেশ
শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিন শুভ ‘জন্মাষ্টমী’ উপলক্ষে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ মঙ্গলবার এক বাণীতে তিনি এই শুভেচ্ছা জানান।
জন্মাষ্টমীর এই শুভ দিনে হিন্দু ধর্মের সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘হিন্দু সম্প্রদায়ের আরাধ্য ভগবান বিষ্ণুর অবতার শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিন শুভ জন্মাষ্টমী। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে জন্মাষ্টমী একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। এই উৎসব উৎযাপন করা হয় নানাভাবে। হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করে, ভগবান শ্রীকৃষ্ণ পৃথিবীতে এসেছিলেন সত্য ও সুন্দরের প্রতিষ্ঠার জন্য। তিনি হিংস্রতা ও স্বৈরাচারকে পরাজিত করে সমাজে ন্যায় ও কল্যাণ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।’
‘সকল ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসবের মূলবাণী মানুষে মানুষে সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য ও শুভেচ্ছার পরিসর বিস্তৃত করা। সকলকালে সকল যুগে বিভিন্ন ধর্মের প্রবক্তাগণ মানুষকে সত্য, ন্যায় ও কল্যাণের পথে চালিত হওয়ার উপদেশ দিয়েছেন।’
মির্জা ফখরুল আরো বলেন, ‘বাংলাদেশ ঐতিহ্যগতভাবে ধর্মীয় সম্প্রীতির দেশ হিসেবে সব ধর্মের মানুষের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপনে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাসী। জন্মাষ্টমীর এই শুভক্ষণে সবার সুখ, শান্তি ও কল্যাণ কামনা করছি।’
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মতে, প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার বছর আগে দ্বাপর যুগে ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে মহাবতার শ্রীকৃষ্ণ ধরাধামে আবির্ভূত হন। অত্যাচারী ও দুর্জনের বিরুদ্ধে শান্তিপ্রিয় সাধুজনের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কংসের কারাগারে জন্ম নেন তিনি। শিষ্টের লালন ও দুষ্টের দমনে তিনি ব্রতী ছিলেন। সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে শ্রীকৃষ্ণ তাই ভগবানের আসনে অধিষ্ঠিত।
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে এ বছর জন্মাষ্টমী সারা দেশে সীমিত পরিসরে উদযাপিত হচ্ছে। থাকছে না জন্মাষ্টমীর শোভাযাত্রা, মিছিল ও সমাবেশ। এমনকি বঙ্গভবনে যে অনুষ্ঠান হয়, সেটাও এবার হবে না। তবে মন্দিরে মন্দিরে প্রার্থনা ও গীতাপাঠ করা হবে।