বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে যাত্রীর ঢল
সর্বাত্মক লকডাউনের ঘোষণায় শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে যাত্রীদের ঢল নেমেছে। লঞ্চ বন্ধ থাকলেও ফেরি, স্পিড বোট, ট্রলারে হাজার হাজার যাত্রী বাড়তি ভাড়া গুণে গাদাগাদি করে পারাপার হচ্ছে।
ফেরিতে যাত্রীদের চাপ সামলাতে অনেক কম যানবাহন নিয়েই পাড়ি দিতে বাধ্য হচ্ছে ফেরি। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেল, ইজিবাইকসহ বিভিন্ন যানবাহনে বাড়তি ভাড়া দিয়ে বাড়ি ফিরছে যাত্রীরা। কোথাও দেখা যায়নি স্বাস্থ্যবিধি মানার লক্ষণ।
এদিকে, ফেরি চলাচল সীমিত থাকায় ঘাট এলাকায় পণ্যাবাহী ট্রাকের জট রয়েছে। শতাধিক কাঁচামালবাহী ট্রাক আটকে তাতে পচন ধরেছে। দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার কাঁচামালবাহী ট্রাক সঠিকভাবে পার হতে না পারায় দ্রব্যমূল্যে প্রভাব পড়ার শঙ্কা রয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ১৪ এপ্রিল থেকে সবখানে কঠোর লকডাউন ঘোষণা দিয়েছে সরকার। গত ফলে গতকাল সোমবার সকাল থেকেই শিমুলিয়া-বাংলাবাজার রুটে দক্ষিণাঞ্চল ও ঢাকাগামী যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বাড়তে থাকে। শিমুলিয়া থেকে এ চাপ ঢলে রূপ নেয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নৌযানগুলো কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে পদ্মা পাড়ি দিচ্ছে। শিমুলিয়া থেকে বাংলাবাজার ঘাটে আসা প্রতিটি ফেরি ছিল যাত্রী ও যানবাহনে কানায় কানায় পূর্ণ। যাত্রীর চাপে যানবাহন কম নিয়েই পার হতে বাধ্য হয় ফেরিগুলো। লঞ্চ বন্ধ থাকলেও প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে শিমুলিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে আসা স্পিড বোট ও ট্রলারে পারাপার হয় হাজার হাজার যাত্রী।
ঘাট এলাকায় এসে ইজিবাইক, সিএনজি, মোটরসাইকেলসহ বিকল্প যানবাহনে দ্বিগুণ ভাড়া দিয়ে গন্তব্যে পৌঁছে তারা। ঢাকা থেকে দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে পৌঁছাতে চার গুণেরও বেশি ভাড়া গুণতে হচ্ছে তাদের। ঢাকা থেকে তারা তিন-চার গুণ ভাড়ায় শিমুলিয়া ঘাটে আসে। শিমুলিয়া থেকে স্পিড বোটে ভাড়া যাত্রীপ্রতি নেওয়া হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, ট্রলারে ভাড়া নেওয়া হচ্ছে দেড়শ টাকা। ঘাটে নেমে ইজিবাইক, সিএনজি, মোটরসাইকেলে বরিশালে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, গোপালগঞ্জ ৫০০ টাকা, খুলনা ৭০০ টাকা, মাদারীপুর ২০০ টাকা, বাগেরহাট ৬৫০ টাকাসহ প্রতিটি যানবাহনেই কয়েকগুণ ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।
এদিকে, উভয় ঘাটেই যানবাহনের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। পণ্যবাহী ট্রাকগুলো উভয় ঘাটে আটকে রয়েছে বেশ কয়েকদিন ধরে।
এ সময় নিজেদের অসহায়ত্বের কথাও তুলে ধরেন অনেক নিম্ন আয়ের মানুষ।