বানিয়াচংয়ে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে ইউপি চেয়ারম্যানসহ আহত অর্ধশত
হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় জলাশয়ে বাঁধ দেওয়াকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে। দফায় দফায় কয়েক ঘণ্টা ধরে সংঘর্ষে পৈলারকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, ওই উপজেলার কানিভাঙ্গা এলাকায় একটি পঞ্চায়েতী জলাশয়ে কামালখানী গ্রামের লোকজন বাঁধ দেয়। আজ মজলিশপুর গ্রামের লোকজন ওই বাঁধ ভেঙে দেয়। এতে মজলিশপুর গ্রামের লোকজনকে বাঁধ এলাকা থেকে তাড়িয়ে দেয় প্রতিপক্ষ। এতে মজলিশপুর গ্রামে মাইকে ঘোষণা দিয়ে তাদের লোকজনকে ঘটনাস্থলে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বাঁধের কাছে যাওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়।
এ খবর পেয়ে কামালখানী গ্রামের লোকজনও মাইকে ঘোষণা দিয়ে তাদের লোকজনকে ঘটনাস্থলে যাওয়ার আহ্বান জানায়। দুই পক্ষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ঘটনাস্থলে গেলে তাদের মধ্যে চরম উত্তেজনা দেখা দেয়। এক পর্যায়ে উভয়পক্ষের লোকজন একে অপরের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়লে সংঘর্ষ শুরু হয়। সকাল ৮টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত দফায় দফায় এ সংঘর্ষ চলে।
খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ রানা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বানিয়াচং সার্কেল) শেখ মো. সেলিম, জনপ্রতিনিধিসহ বিপুল পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। দীর্ঘক্ষণ চেষ্টা চালিয়ে তারা সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় পুলিশ অন্তত ২০ রাউন্ড রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। এ সংঘর্ষে পৈলারকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন আহমেদসহ অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়।
আহত চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিনকে বানিয়াচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের মধ্যে মজলিশপুর গ্রামের নজির মিয়াকে (২৫) গুরুতর আহত অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অপর আহত আবিদুর, লাল মিয়া, মনছুর, অলি হোসেন, জমির, অপু সরকার, নিপু, সাজিদ, নূরুল আমীন, সাজলু, ফজলু, জিলু, নাজমুল, হারুন, জসিম, আনসার মিয়াসহ আরো কয়েকজনকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ রানা বলেন, ‘পুলিশ, জনপ্রতিনিধিসহ উপজেলা প্রশাসন ঘটনাস্থলে পৌঁছে উভয়পক্ষকে শান্ত করেছে। সব কিছু এখন প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’