বান্দরবানের পূরবী বার্মিজ মার্কেট পুড়ে ছাই
বান্দরবানে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পূরবী বার্মিজ মার্কেট সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
আজ শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত ঘটে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স। মার্কেটের ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা দাবি করেছেন, অগ্নিকাণ্ডে তাদের প্রায় চার কোটি টাকার মালামাল পুড়ে গেছে।
ফায়ার সার্ভিস ও ক্ষতিগ্রস্তরা জানায়, বান্দরবান বাজারের পূরবী বার্মিজ মার্কেটে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়ে মুহূর্তে আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। আগুনের লেলিহান শিখায় পুড়ে গেছে মার্কেটের একটি ওষুধসহ ২৪টি দোকান। এসব দোকানে বার্মিজ ও স্থানীয় ঐতিহ্যবাহী পাহাড়ি পোশাকসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র ছিল। আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাশের মাস্টার বার্মিজ মার্কেট এবং আশপাশের বেশকিছু ঘরবাড়ি।
ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট, সেনাবাহিনী, পুলিশ ও স্থানীয়রা মিলে দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী পাশের একটি মার্কেটের সত্ত্বাধিকারী জলিমং মারমা বলেন, ‘পূরবী মার্কেটের পশ্চিমপাশের দোকান থেকেই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে। আগুনে মার্কেটের সবগুলো দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। পাশের মাস্টার মার্কেটেরও বেশকিছু ক্ষতি হয়েছে।’
এদিকে, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান বান্দরবান পৌরসভার মেয়র মো. ইসলাম বেবী, কাউন্সিলর দিলীপ বডুয়াসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
পূরবী মার্কেটের মালিক রাজেশ্বর দাস বলেন, ‘আগুনের খবর পেয়ে ছুটে এসেছি। সম্পূর্ণ মার্কেটটি পুড়ে গেছে। মার্কেটে ২৪টি বিভিন্ন পণ্যের দোকান ছিল। আগুন লাগার কারণ এখনো নিশ্চিত করে বলতে পারছি না। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ চার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে আমার ধারণা।’
মার্কেটের ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদার মোহাম্মদ মিলন বলেন, ‘মার্কেটে আমাদের টেক্সটাইল পোশাকের দুটি দোকান ছিল। মুহূর্তে আগুন মার্কেটে ছড়িয়ে পড়ায় দোকানের কোনো মালামালই বের করতে পারিনি। করোনারভাইরাসের কারণে দীর্ঘদিন মার্কেটের সবগুলো দোকান বন্ধ ছিল।’
পৌরসভার মেয়র মো. ইসলাম বেবী বলেন, ‘এটি একটি দুর্ঘটনা। আগুনে মার্কেটের ২৪টি দোকান পুড়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিস, সেনাবাহিনী, পুলিশ, পৌরসভার স্বেচ্ছাসেবকসহ সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। তবে কোনো প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি।’
বান্দরবান ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার সাকরিয়া হায়দার জানান, ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিটের কর্মীরা স্থানীয় সেনাবাহিনী, পুলিশ, স্বেচ্ছাসেবকদের সহযোগিতায় দু’ঘণ্টা চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এ মুহূর্তে বলা সম্ভব নয়।