বান্দরবানে ইমাম হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন
বান্দরবানের রোয়াংছড়িতে ইমাম মো. ওমর ফারুক ত্রিপুরাকে গুলি করে হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে জেলা ইমাম সমাজ। আজ বুধবার সকালে বান্দরবান প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন করা হয়। পরে ইমাম হত্যাকারীদের ফাঁসিসহ নয় দফা দাবিতে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
ঘণ্টাব্যাপী কর্মসূচিতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজনসহ জেলার বিভিন্ন মসজিদের শত শত ইমাম, আলেম-ওলামা ও সাধারণ মুসল্লিরা অংশ নেয়। এ সময় ইমাম মো. ওমর ফারুক ও তাঁর পরিবারবর্গের জন্য মোনাজাত করা হয়।
কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন বান্দরবান কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আলাউদ্দিন ইমামী, বাজার জামে মসজিদের খতিব মাওলানা এহসানুল হক আল মঈন, বনরুপা মসজিদের খতিব মাওলানা আব্দুল আওয়াল, মাওলানা আবুল কালাম, মাওলানা আহমেদ তৌহিদ, মাওলানা মুজিবুল হক প্রমুখ।
মানববন্ধনের পর আলেম সমাজের একটি প্রতিনিধি দল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে ইমাম হত্যাকারীদের ফাঁসিসহ নয়দফা দাবিতে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর একটি স্মারকলিপি দিয়েছে। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- ইমাম মো. ওমর ফারুককে গুলি করে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করে ফাঁসি নিশ্চিত করা, পাহাড়ে অবস্থানরত সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের নির্মূল করা, ওমর ফারুকের পরিবারের নিরাপত্তা এবং জীবিকা নির্বাহের ব্যবস্থা নেওয়া, পরিবারকে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা, পাহাড়ে বসবাসরত সব জনগণের নিরাপত্তায় সেনাক্যাম্পগুলো পুনঃস্থাপন করা, শহীদ ওই ইমামের প্রতিষ্ঠিত মসজিদটি সুরক্ষার ব্যবস্থা করা, হত্যাকাণ্ডের তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করা এবং যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত করা, আলেমদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
গত শুক্রবার রাতে রোয়াংছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের তুলাছড়ি আগাপাড়া এলাকায় এশার নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা তুলাছড়ি রায়চন্দ্র পাড়ার জামে মসজিদের ইমাম ওমর ফারুককে (৫৪) গুলি করে হত্যা করে। ওমর ফারুকের জন্মগত নাম পূর্ণচন্দ্র ত্রিপুরা। তিনি ২০১৩ সালে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।
গুলি করে হত্যার ঘটনায় রোয়াংছড়ি থানায় অজ্ঞাত পরিচয়ের পাঁচজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে।