বান্দরবানে চিকিৎসক, ইউএনও, ওসিসহ ৩০ জন কোয়ারেন্টিনে
বান্দরবানে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে চারজন হয়েছে। তাদের মধ্যে তিনজন পুরুষ ও একজন নারী।
এদিকে, সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগী করোনা পজিটিভ হওয়ায় হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তাসহ (আরএমও) সাত চিকিৎসক, ১০ জন নার্স, ছয়জন স্টাফ ও আয়া এবং থানচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), থানচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) সাতজন কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন।
সদর হাসপাতালের পুরুষ ওয়ার্ড লকডাউন করা হয়েছে। সেইসঙ্গে থানচি উপজেলার দুটি বাজার ও থানচি সোনালী ব্যাংকের শাখা লকডাউন করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, গত মঙ্গলবার রাতে চট্টগ্রামের করোনা পরীক্ষা ল্যাবে থানচি উপজেলার সোনালী ব্যাংকের এক নিরাপত্তারক্ষী, বড়মদক এলাকার মারমা সম্প্রদায়ের এক ব্যক্তি ও লামা উপজেলায় সদর ইউনিয়নের এক নারীর (৩২) করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়।
এর আগে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ল্যাব টেস্টে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নে তাবলিগ জামাতফেরত পুরুষ আবু সিদ্দিকের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এ নিয়ে জেলায় চারজনের করোনা হয়েছে। শনাক্ত রোগীদের সদর হাসপাতালে দুজন, লামায় একজন ও নাইক্ষ্যংছড়িতে একজন রয়েছে। এ ছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে ১০ জন ও হোম কোয়ারেন্টিনে ১৯৫ জন রয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বান্দরবান সিভিল সার্জন ডা. অংসুই প্রু মারমা বলেন, থানচিতে দুজন, লামায় একজন ও নাইক্ষ্যংছড়িতে একজনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। তাদের সংস্পর্শে থাকা সদর হাসপাতালের সাত চিকিৎসক, ১০ নার্স, ছয়জন স্টাফ-আয়া এবং থানচিতে ইউএনও, ওসিসহ ৩০ জনকে নতুন করে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।