বার্ষিক কর্মসম্পাদনে দেশ সেরা পুরস্কার পেলেন সিসিক মেয়র
কর্মসম্পাদন চুক্তি বাস্তবায়নে দেশ সেরা সিটি করপোরেশনের মর্যাদা ধরে রেখেছে সিলেট সিটি করপোরেশন। বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির প্রতিবেদন ও মূল্যায়নে দেশের সকল সিটি করপোরেশনের মধ্যে ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রথম হয়েছে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক)।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির বাস্তবায়নে সকল বিভাগ ও দপ্তরের মধ্যে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে সিলেট সিটি করপোরেশন।
মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মলয় চৌধুরীর সঞ্চালনায় এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এমপি।
২০২২-২০২৩ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর ও শুদ্ধাচার পুরস্কার ২০২১-২০২২ প্রদান অনুষ্ঠানে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর হাতে ২০২০-২০২১ অর্থবছরের কর্মসম্পাদন চুক্তি বাস্তবায়নে দেশ সেরা পুরস্কার তুলে দেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম ও স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী। পুরস্কার গ্রহণের সময় মেয়রের সাথে ছিলেন সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সরকারের অতিরিক্ত সচিব বিধায়ক রায় চৌধুরী। দেশ সেরা স্বীকৃতির এই পুরস্কারে ক্রেস্ট ও সনদপত্র হস্তান্তর করা হয়।
এর আগে সিলেট সিটি করপোরেশনের পক্ষে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিধায়ক রায় চৌধুরী স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরীর সাথে ২০২২-২৩ অর্থবছরের কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর করেন।
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী এই অর্জনকে সিলেট মহানগরের সম্মানিত নাগরিকদের উৎসর্গ করে বলেন, এ অর্জন সিলেট সিটি করপোরেশনের সকল কাউন্সিলরগণ, বিভাগ-শাখার কর্মকর্তা কর্মচারীদের পরিশ্রমের ফসল। বিশেষ করে নাগরিক সেবা ও উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়নে সিলেটের সম্মানিত নাগরিকদের সর্বাত্মক সহযোগিতার লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী কর্মসম্পাদন চুক্তির বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে।
মেয়র আরও বলেন, শতভাগ সেবার মনোভাব নিয়ে সর্বাত্মক সচেনতার মধ্য দিয়ে নাগরিক সেবা ও উন্নয়ন কাজ করেছে সিসিকের সকল বিভাগ ও শাখা। সিসিকের ধারাবাহিক এ অর্জন নাগরিক সন্তুষ্টিরও একটি দৃষ্টান্ত। আমরা জনপ্রতিনিধি, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কেবল আমাদের দায়িত্ব পালন করেছি। দেশের সকল সিটি করপোরেশনের মধ্যে কর্মসম্পাদন চুক্তির বাস্তবায়নে প্রথম হওয়ায় নাগারিক সেবা প্রদান ও উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়নে আমাদের আরও দায়িত্বশীল ও দায়বদ্ধ করে তুলেছে।
আগামীতে সেবার মান বৃদ্ধি ও সুষম উন্নয়ন বাস্তবায়নে সিসিকের কাউন্সিলর, সংরক্ষিত কাউন্সিলর, সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আরও বেশি দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। সিসিকের উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়নে অন্যান্য সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা জানান মেয়র। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান, সহকারী প্রকৌশলী জয়দেব বিশ্বাস প্রমুখ।
উল্লেখ্য, সরকারের নির্ধারিত মূল্যায়ন পদ্ধতি অনুসারে অর্জিত ১০০ নম্বরের মধ্যে ৯৭.১০ নম্বর পেয়ে দেশের সকল সিটি করপোরেশনের মধ্যে প্রথম ও ২০টি দপ্তর ও সংস্থার মধ্যে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে সিলেট সিটি করপোরেশন।