বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত ৩০
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে কিশোরগঞ্জে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে। আজ সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে এ সংঘর্ষ হয়।
এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এ সময় পুলিশ বিএনপির কয়েক নেতাকর্মীকে আটক করেছে।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম জানান, ৭ নভেম্বর উপলক্ষে আয়োজিত বিএনপির আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের কর্মসূচিতে যোগদান করতে যুবদলের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে জেলা বিএনপি কার্যালয়ের কাছাকাছি পৌঁছালে পুলিশ তাদের স্লোগান দিতে বাধা দেয়। একপর্যায়ে বিনা উসকানিতে পুলিশ শান্তিপূর্ণ মিছিল থেকে ব্যানার কেড়ে নিয়ে মিছিলকারীদের ওপর বেধড়ক লাঠিচার্জ ও গুলি করে ছত্রভঙ্গ করে। গুলি ও লাঠিচার্জে জেলা যুবদলের সভাপতি খসরুজ্জামান শরীফ, সিনিয়রসহ সভাপতি মুশতাক আহমেদ শাহীন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, হোসেনপুর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক শাফায়েতুল হাসানসহ ১৮ জন আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। এ ঘটনায় জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবু নাসের সুমনসহ কয়েকজন নেতাকর্মী পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন।
কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দাউদ জানান, যুবদলের মিছিল থেকে অশোভন আচরণ করায় তিনি নিজে তাদের নিবৃত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু তারা আরও বেপরোয়া হয়ে তার প্রতি চেয়ার ও ইটপাটকেল ছুড়ে মারে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ এসে লাঠিচার্জ ও কয়েক রাউন্ড শটগানের ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় তিনিসহ পুলিশের ১২ সদস্যসহ আহত হয়েছেন।
বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে উল্লেখ করে ওসি বলেন, এ ঘটনায় কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।