বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে হবে : গয়েশ্বর
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, বিএনপির বিরুদ্ধে চতুর্মুখী ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এই ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবেলা করতে হবে। জাতীয়তাবাদী সকল দেশপ্রেমিক শক্তি ঐক্যবদ্ধ হয়ে চলতে হবে। রাজপথে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। তাহলে দেশে গণতন্ত্রের মুক্তি হবে। গণতন্ত্রের মাতা খালেদা জিয়ার মুক্তি হবে। আমাদের নেতা তারেক রহমান বিদেশে থাকবেন না, দেশে আসবেন।
আজ সোমবার ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলা, দোহার থানা ও পৌরসভা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গয়েশ্বর এসব কথা বলেন।
উপজেলার কলাকূপা গ্রামে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে কণ্ঠভোটে নবাবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজাদুল ইসলাম হাই এবং সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবুল কালাম নির্বাচিত হন। একইভাবে কণ্ঠভোটে দোহার থানা বিএনপির সভাপতি নির্বাচিত হন নজরুল ইসলাম মেছের ও সাধারণ সম্পাদক মাসুদ পারভেজ।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আপনারা ঐক্যবদ্ধ থাকবেন, এক সাথে কাজ করবেন। আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
সাবেক মন্ত্রী নাজমুল হুদাকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, খেয়াল করবেন, আপনাদের সতর্ক থাকতে হবে। আগে বিএনপি করত, এখন বিএনপিকে গালাগাল দেয় এবং শেখ হাসিনার প্রশংসা করে। এই দোহার-নবাবগঞ্জেই আছেন। কিন্তু মেয়ে আবার বিএনপি করে।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, এই দোহার-নবাবগঞ্জের যিনি এমপি আছেন, বাংলাদেশে তার জন্ম নয়, তার জন্ম পাকিস্তানে। তার সাথে মুক্তিযুদ্ধের কোনো সম্পর্ক ছিল না। ১৯৭৩ সালে তিনি বাংলাদেশে এসেছেন। এই দোহার থেকে গণতন্ত্রের অপশক্তিকে বিতাড়িত করব। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি আমরা। এখন আমরাই গণতন্ত্র মুক্ত করব, দেশের মানুষকে মুক্ত করব, এই দেশ পরিচালনা করব, আমরা মুদ্রা পাচারকারীদের আটক করব।
বিএনপির এই নেতা বলেন, করোনায় মানুষ মারা যায়, আর করোনা টিকার ২৩ হাজার কোটি টাকার হিসেব নেই। এই টাকার হিসাব কে দিবে? শেখ হাসিনা এই টাকার হিসাব কীভাবে দেবে। সব টাকা তো বিদেশে পাচার করা হয়েছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য আরও বলেন, এখন প্রতিটি জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধিতে মানুষের নাভিশ্বাস অবস্থা। এখন বলে কুমড়া দিয়ে বেগুনি বানাতে হবে। সরকারকে বলব, কাঁঠালে কি আমসত্ত্ব হয়? আমরা পাগলের দেশে আছি। এই দেশকে পাগলমুক্ত করতে হবে।