বিষখালী নদীর ভাঙনে সাইক্লোন শেল্টারের একাংশ ও মসজিদ বিলীন
ঝালকাঠিতে বিষখালী নদীর আকস্মিক ভাঙনে সদর উপজেলায় পশ্চিম দেউরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন শেল্টারের একাংশ ও একটি মসজিদ বিলীন হয়ে গেছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে, নদীর তীরে ভাঙনের ছবি তুলতে গিয়ে নদীতে পড়ে এক যুবক নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।
ভাঙনকবলিত এলাকার বাসিন্দারা জানায়, পশ্চিম দেউরী এলাকা দীর্ঘদিন ধরেই বিষখালী নদীতে ভাঙছে। হুমকির মুখে ছিল সাইক্লোন শেল্টারসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, বসতঘর ও ফসলি জমি। বেজমেন্টের মাটি সরে যাওয়ায় সাইক্লোন শেল্টারটি শুধু পিলারের ওপর দাঁড়িয়ে ছিল। দুদিন ধরে নদীতে জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেড়েছে। আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এই এলাকায় আকস্মিক নদীভাঙন শুরু হয়। মুহূর্তের মধ্যে নদী তীরের সাইক্লোন শেল্টার কাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তিনটি কক্ষ নিয়ে একাংশ ভেঙে বিলীন হয়ে যায়। ভবনের বাকি অংশ যেকোনো মুহূর্তে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। একই সময় একটি মসজিদ নদীগর্ভে চলে যায়। ভাঙনের কারণে ফাটল ধরেছে বিদ্যালয়ের পুরোনো ভবনে। এতে বিদ্যালয়টির প্রায় ৩০০ শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।
অন্যদিকে, ঝড়-বন্যায় পোনাবালিয়া ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষের আশ্রয়ের কোনো স্থান থাকবে না। এদিকে ভাঙনের ছবি তুলতে গিয়ে নেয়ামত উল্লাহ হাওলাদার নামের স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র নদীতে পড়ে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছে। সে পশ্চিম দেউরী গ্রামের আবদুল বারেক হাওলাদারের ছেলে।
নিখোঁজ ওই স্কুলছাত্রের এখনও কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন পশ্চিম দেউরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ফারুক হোসেন। খবর পেয়ে ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী স্পিডবোটে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। নিখোঁজ শিক্ষার্থীকে উদ্ধারে বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদল উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে ঝালকাঠি পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব হোসেন বলেন, পশ্চিম দেউরী এলাকায় বিষখালী নদীর আকস্মিক ভাঙন শুরু হয়েছে। আমরা জরুরি ভিত্তিতে এ এলাকায় জিওব্যাগ ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। অল্প সময়ের মধ্যেই কাজ শুরু করা হবে।
১০ বছর আগে প্রায় চার কোটি টাকা ব্যয়ে বিষখালী নদী তীরে এ সাইক্লোন শেল্টার কাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ করা হয়।