বুদ্ধপূর্ণিমা বাড়িতে পালনের আহ্বান
বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বুদ্ধপূর্ণিমা উদযাপিত হবে আগামীকাল বুধবার। তবে মহামারি নভেল করোনাভাইরাসের কারণে এবার এ উৎসব পালিত হবে নিজ নিজ বাড়িতে। এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশের শীর্ষ বৌদ্ধ সংগঠনগুলো।
আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ বুড্ডিস্ট ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ভিক্ষু সুনন্দপ্রিয় স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতি, বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘ, বাংলাদেশ বুড্ডিস্ট ফেডারেশন, বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভা, বাংলাদেশ বৌদ্ধ ভিক্ষু মহাসভা, পার্বত্য ভিক্ষু সংঘ-বাংলাদেশ এবং বনভন্তে শিষ্য সংঘসহ দেশের সব অঞ্চলের শীর্ষ বৌদ্ধ সংগঠন আলোচনা করে বুদ্ধপূর্ণিমা বাড়িতে উদযাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
‘প্রতিবছর এ দিবসটি অত্যন্ত জাঁকজমক পরিবেশে উদযাপন করে। আমরাও আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশেও যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদায় প্রতিবছর উদযাপন করে থাকি। সরকার এ দিবসটি জাতীয় ছুটি ঘোষণা করে। আপনারা সকলেই জানেন, করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ বিশ্বব্যাপী মরণঘাতী হিসেবে দেখা দিয়েছে। আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশও এ ভাইরাসে আক্রান্ত।
‘এ কারণে সরকার ঘোষিত লকডাউনের আওতায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে আন্তর্জাতিক বৌদ্ধবিহার, মেরুল বাড্ডা, ঢাকায় কোনো রকম শুভ বুদ্ধপূর্ণিমার আনুষ্ঠানিক কর্মসূচি পালন করা হবে না। শুধু বৌদ্ধবিহারে অবস্থানরত ভিক্ষুসংঘরা বিহারে ধর্মীয় অনুষ্ঠান, পূজা, বন্দনাসহ ধর্মীয়কার্য সমাধা করবেন। ভক্তবৃন্দ, উপাসক-উপাসিকাগণ নিজ নিজ বাড়িতে অবস্থান করে ধর্মীয় কার্য প্রতিপালন করবেন।
‘করোনাভাইরাসের কারণে এবার সব বিহার ও প্যাগোডায় শুভ বুদ্ধপূর্ণিমার কোনো ধরনের আনুষ্ঠানিক কর্মসূচি পালন করা হবে না। শুধু বৌদ্ধবিহারে অবস্থানরত ভিক্ষুসংঘরা বিহারের ভেতরে ধর্মীয় অনুষ্ঠান, পূজা, বন্দনাসহ ধর্মীয়কাজ সমাধা করবেন। অন্যরা নিজ নিজ বাড়িতে অবস্থান করে ধর্মীয় কাজ প্রতিপালন করবেন’, উল্লেখ করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব হলো বুদ্ধপূর্ণিমা। বৈশাখ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে উদযাপিত হয় এ উৎসব। বৌদ্ধ ধর্ম অনুসারে, এ পবিত্র তিথিতে গৌতম বুদ্ধ জন্মগ্রহণ করেছিলেন, বোধি বা সিদ্ধিলাভ করেছিলেন এবং মহাপরিনির্বাণ লাভ করেছিলেন। এ দিনে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা স্নান করেন, শুচিবস্ত্র পরিধান করে মন্দিরে বুদ্ধের বন্দনায় রত থাকেন।