বৈঠক নিয়ে বিএনপির বক্তব্যে জার্মান রাষ্ট্রদূতের অসন্তোষ
বাংলাদেশে জার্মানির রাষ্ট্রদূত আখিম টোশার গত মাসে বিএনপির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকের পর বিএনপির দেওয়া বক্তব্য নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন জার্মান রাষ্ট্রদূত।
জাতীয় প্রেসক্লাবে আজ বুধবার ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিকাব)-এর টক অনুষ্ঠানে এ কথা জানান জার্মান রাষ্ট্রদূত।
রাষ্ট্রদূত জানান, মানবাধিকার ও গণতন্ত্র নিয়ে তাঁকে উদ্ধৃত করে বিএনপি যে বক্তব্য দিয়েছে, তাতে তিনি অখুশি।
আখিম টোশার জানান, তিনি জার্মান উপরাষ্ট্রদূতকে নিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গিয়েছিলেন। ওই বৈঠকের বিষয়ে বিএনপি নেতারা তাঁকে উদ্ধৃত করে গণমাধ্যমে যা বলেছেন, তাতে তিনি ‘কিছুটা অসন্তুষ্ট’ হয়েছেন।
এ সময় ডিকাব সভাপতি রেজাউল করিম লোটাস ও সাধারণ সম্পাদক একেএম মঈনুদ্দিন বক্তব্য দেন।
গত ১৭ মার্চ ঢাকায় নিযুক্ত জার্মানির রাষ্ট্রদূত আখিম টোশারের সঙ্গে প্রায় দুই ঘণ্টা রুদ্ধদ্বার বৈঠক করে বিএনপি। গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ওই বৈঠক হয়। বৈঠকের পর ব্রিফ করেছিলেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
বৈঠকের পর আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের মধ্যে অনেক মিউচ্যুয়াল ইন্টারেস্ট আছে। দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষের যে প্রত্যাশা তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। উন্নয়ন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, দেশের আইনের শাসনসহ সব কিছুই আসে আলোচনায়।’
বাংলাদেশের মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের বিষয়ে রাষ্ট্রদূত কী বলেছেন—সাংবাদিকরা জানতে চাইলে খসরু বলেন, ‘বাংলাদেশের মানবাধিকার ও গণতন্ত্র নিয়ে বিশ্বব্যাপী সবাই অবগত আছে। এখানে নতুন করে বলার কিছু নেই। এগুলো নিয়ে বিশ্বব্যাপী আলোচনাও হচ্ছে। বাংলাদেশ নিয়ে বিশ্বব্যাপী যে আলোচনা হচ্ছে উনারা (জামার্নি) তো তার একটা অংশ।’
আগামী নির্বাচনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে কি না, এ বিষয়ে খসরু বলেন, ‘নির্বাচন বাদে তো কোনো আলোচনা হতে পারে না। কারণ, বাংলাদেশের আগামী নির্বাচনের বিষয়ে সারা বিশ্ব তাকিয়ে আছে। স্বাভাবিকভাবে উনারা জানতে চেয়েছেন, আগামী নির্বাচনে বাংলাদেশ কোথায় যাচ্ছে? সবার চোখ তো বাংলাদেশের দিকে।’