ব্যবসায়ীদের টাকা মারাই বাবুর ‘ব্যবসা’, ৫০ কোটি পকেটে
দীর্ঘদিন প্রতারণার মাধ্যমে ৫০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন মশিউর রহমান খান ওরফে বাবু। গতকাল মঙ্গলবার তাকে রাজধানীর মহাখালী থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ বুধবার রাজধানীর মালিবাগের সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সিআইডির উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) শেখ ওমর ফারুক।
সিআইডির কর্মকর্তা বলেন, ‘মশিউর রহমানের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৯২টি মামলা থাকার তথ্য পেয়েছে পুলিশ। তিনি সংঘবদ্ধ অপরাধীচক্রের অন্যতম হোতা। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে আরও বিস্তারিত তদন্ত করছে সিআইডি। এরই মধ্যে মশিউর রহমানের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত তাঁদের কাছে ১০০ জনের মতো ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী অভিযোগ করেছেন। দিন দিন এই অভিযোগকারীর সংখ্যা বাড়ছে। সিআইডি কার্যালয়ে প্রতারিত শতাধিক ব্যবসায়ী আজ হাজির ছিলেন। মশিউর রহমানের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা।’
সিআইডির উপমহাপরিদর্শক বলেন, ‘আসামি মশিউর রহমানের বাড়ি গোপালগঞ্জ। অনলাইনে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করে মশিউর রহমানের সহযোগীরা। পরে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য চাল, ডাল, তেল, লবণসহ বিবিধ পণ্য কেনার জন্য সরবরাহকারীদের সঙ্গে তাঁর সহযোগীরা যোগাযোগ করেন।’
শেখ ওমর ফারুক বলেন, ‘সংঘবদ্ধ অপরাধীচক্রের সদস্যদের পেশাদারি আচরণে তাঁদের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ধরতে পারেন না ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা। যেকোনো পণ্য কেনার পর তার ১০ থেকে ৩০ শতাংশ মূল্য পরিশোধ করতেন মশিউর। বাকি ৭০ শতাংশ মূল্য চেকের মাধ্যমে পরিশোধ করতেন। পরে ব্যবসায়ীরা ব্যাংকে গিয়ে জানতে পারেন, মশিউর রহমান রহমান যে চেক দিয়েছেন, সেই চেকে পর্যাপ্ত টাকা নেই। এরপর দিনের পর দিন টাকা না দিয়ে নানাভাবে প্রতারিত করেন মশিউর।’
সিআইডির কর্মকর্তা জানান, প্রতারণার মাধ্যমে ৫০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মশিউর রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে কাফরুল থানায় মামলা হয়েছে। আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে আরও অনেক তথ্য বেরিয়ে আসবে।