ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপনির্বাচনে অনিয়ম হলে সরকারকে দায় নিতে হবে : অ্যাডভোকেট ভাসানী
জাতীয় সংসদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচনে জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদ ভাসানী বলেছেন, জাতীয় পার্টি গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা রক্ষায় সরকারের জন্য সবচেয়ে বড় নিয়ামক। এই পার্টি মহাজোটের শরীকদল হয়েও বিরোধী দলের দায়িত্ব নিয়ে সংসদকে কার্যকর রেখেছে। অথচ, এখানকার স্থানীয় আওয়ামী লীগ উল্টো পথে হাঁটছে।
ভাসানী বলেন, ‘চল্লিশ বছর ধরে যে লোকটি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের বিরুদ্ধে কথা বললেন, তাঁরা আজ তাঁকে নিয়েই নাচছে। জাতির জনকের কন্যা প্রধানমন্ত্রী এমন নির্দেশ দিয়েছেন বলে আমি বিশ্বাস করি না।’
অ্যাডভোকেট ভাসানী আরও বলেন, ‘আশুগঞ্জ-সরাইলের মানুষ প্রধানমন্ত্রী ও পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদকে ভালবাসে। তারা লাঙ্গল প্রতীকে ভোট দিতে চায়। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে লাঙ্গল বিপুল ভোটে বিজয়ী হবে।’ তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে কোনো অনিয়ম বা ইঞ্জিনিয়ারিং করলে নির্বাচন কমিশন প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ার পাশাপাশি সরকারকেও দায় নিতে হবে।’
আশুগঞ্জ উপলোর বিভিন্ন ইউনিয়নে নির্বাচনী প্রচারণা শেষে গতকাল শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) রাত ১০ টায় আশুগঞ্জ প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় জাপা মনোনীত প্রার্থী ভাসানী এসব কথা বলেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে আশুগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক মেরাজুল হক সিকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল হোসেন মুন্সী, উপজেলা জাপা নেতা জামাল আহমেদ, উজ্জ্বল মিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মতবিনিময় সভায় জাপা প্রার্থী আরও বলেন, ‘আশুগঞ্জ-সরাইলের ব্যাপক অর্থনৈতিক গুরুত্ব থাকলেও আমরা বরাবরই উন্নয়ন বঞ্চিত। আমাদের বয়োজ্যৈষ্ঠ নেতা উকিল আব্দুস সাত্তার বারবার এমপি-মন্ত্রী হয়েও এলাকার কাঙ্খিত উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারেনি। তাই মানুষ পরিবর্তন চায়।’
অ্যাডভোকেট ভাসানী বলেন, ‘স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের প্রচারণায় মানুষ ভোটকেন্দ্রে যেতে নিরুৎসাহিত হচ্ছে। তাঁরা অবলিলায় বক্তৃতা-বিবৃতিতে বলে বেড়াচ্ছেন, সাত্তার সাহেব আবার এমপি হয়েই গেছেন। তাহলে আর ভোটের কী প্রয়োজন রয়েছে? ডিক্লার দিয়ে দিলেই হয়।’