ভাটারায় গৃহকর্মীকে নির্যাতন : রিমান্ড শেষে গৃহকর্ত্রী কারাগারে
রাজধানীর ভাটারায় ১৪ বছর বয়সী গৃহকর্মী কুলসুম আক্তারকে নির্যাতনের মামলায় গৃহকর্ত্রী মাহফুজা রহমানকে দুই দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ উর রহমান এই আদেশ দেন।
আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা (জিআরও) রাফাত আরা সুলতানা এনটিভি অনলাইনকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আজ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসামিকে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে গত ২ জুলাই এ মামলার আরেক আসামি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা আসাদুর রহমান আরিফের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এরপরে ৫ জুলাই আদালতে হাজির করা হলে তাঁকেও কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
মামলার নথি থেকে জানা গেছে, গত ১ জুলাই কুলসুম আক্তারকে নির্যাতনের অভিযোগে তাঁর বোন ফাতেমা বেগম ভাটারা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলায় আসাদুর রহমান আরিফ এবং তাঁর স্ত্রী মাহফুজা রহমানকে আসামি করা হয়।
এজাহারে বলা আছে, গত বছরের ১২ নভেম্বর ভাটারার এলাকা আসাদুর রহমানের বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে কাজ শুরু করে কুলসুম আক্তার। কাজে সামান্য ভুল হলেই কুলসুমকে লাঠি দিয়ে মারধর, প্লাস দিয়ে মাথার চুল টানা, গায়ের ওপর গরম পানি ঢেলে দেওয়া, গরম খুন্তি দিয়ে ছ্যাঁকা দেওয়াসহ নানা ধরনের নির্যাতন করতেন মাহফুজা।
সব শেষে গত ১৫ জুন ঘর পরিষ্কার করতে দেরি হওয়ায় কুলসুমকে বেধড়ক মারধর করেন আরিফ ও মাহফুজা। এমনকি গরম পানি দিয়ে তাঁর শরীর ঝলসে দেওয়া হয় এবং চুলায় রড গরম করে তাঁর পায়ে চেপে ধরা হয়।
এ ছাড়া, কুলসুমের মুখ, হাত, পা, পিঠসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন আছে। পরে অসুস্থতার কথা বলে ৩০ জুন কুলসুমকে তাঁর বড় বোন ফাতেমা আক্তারের বাসায় রেখে যান মাহফুজা।